ঢাকা: কয়েক দিনের টানা বর্ষণ কমে এলেও উন্নতি হয়নি কাশ্মীরের বন্যা পরিস্থিতির। মঙ্গলবার বৃষ্টি না হওয়ায় কাশ্মীরের ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশের অনেক স্থানে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি দুর্গতদের।
খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে এখন জম্মু ও কাশ্মীরের ঘরে ঘরে হাহাকার। দুর্যোগ মোকাবেলায় ত্রাণ কার্যক্রম অপ্রতুল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম এখনও লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়ায় সেখানকার অবস্থা জানতে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
তবে দুর্গতদের উদ্ধারে অভিযান জোরদারের দাবি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়েছে ৪৫টি হেলিকপ্টার।
ভারত ও পাকিস্তান, উভয় রাষ্ট্রের দখলে থাকা কাশ্মীরের গত ৬০ বছরের ইতিহাসের ভয়াবহ এই বন্যায় ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়া অনেক গ্রামের প্রকৃত চিত্র পৌঁছাচ্ছে না কর্তৃপক্ষের কাছে।
এদিকে সোমবারও রাজধানী শ্রীনগর সহ ভারত শাসিত কাশ্মীরের অন্যান্য স্থান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ২২ হাজার মানুষকে। আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বন্যা দুর্গত এলাকায় পাঠানো হয়েছে ৬৫টি মেডিক্যাল টিম।
প্রবল পানির তোড়ে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে কাশ্মীরের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র হাইওয়েটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়কটি চলাচল উপযোগী করতে আরও চার-পাঁচদিন লাগবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এদিকে উপত্যকার সবচেয়ে বড় নদী ঝিলাম থেকে পানি কমার খবর পাওয়া গেলেও কাশ্মীরের ডাল লেকের পানি বাড়ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৪