ঢাকা: জাতীয় পতাকা পরিবর্তনে আগামী বছর গণভোটের আয়োজন করতে পারে নিউজিল্যান্ড। নির্বাচনী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সোমবার এমনই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জন কি।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, পতাকা থেকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ছাপ দূর করতে এবং জাতীয় পতাকার স্বাধীন পরিচয় দাঁড় করাতে এ উদ্যোগ নিচ্ছেন জন কি।
কি’র নেতৃত্বাধীন মধ্য-ডানপন্থি দল শনিবারের নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখা, ব্যয়সংকোচন এবং আগামী তিন বছর করসংকোচনের কথা উল্লেখ করে কি’র দল।
পতাকা পরিবর্তনে গণভোটের ব্যাপারে তার নির্বাচনী অঙ্গীকার মনে করিয়ে দেওয়া হলে কি একটি রেডিও’র সাংবাদিককে বলেন, তিনিও চান আগামী বছর পতাকা পাল্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হোক।
জন কি বলেন, আমি অবশ্যই এ পরিবর্তনের বড় সমর্থক, আমি মনে করি এই পরিবর্তনের পক্ষে অনেক জোরালো যুক্তি রয়েছে।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে জন কি বলেছিলেন, তিনি এমন পতাকা চান যেটা নিউজিল্যান্ডকে বিশ্ব দরবারে আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দেবে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপ রাষ্ট্রটির বর্তমান পতাকা বিংশ শতকের শুরুতে নকশা করা হয়। বর্তমান পতাকায় নীল ব্যাকগ্রাউন্ডের মধ্যে উপরের বামের কর্নারে সাউদার্ন ক্রসের চারটি লাল তারকা রয়েছে যেটা ব্রিটিশ ইউনিয়নের প্রতীক বহন করে। এটাকে দেখতে অনেকটা অস্ট্রেলিয়ান পতাকার মতোও মনে হয়।
জন কি ও তার সমর্থকরা যে নতুন পতাকার কথা ভাবছেন, তাতে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের মধ্যে রুপোলি রঙের ফার্ন (নিউজিল্যান্ডের একধরনের গাছের পাতা) থাকবে।
অবশ্য, মার্চে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ অংশগ্রহণকারীই পতাকায় কোনো পরিবর্তন চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪