ঢাকা: ২০১৬ সালের আগে থাইল্যান্ডে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী সোম্মাই পাস্সি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সাক্ষাতকারে অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রাউথ চ্যান-ওচা’র আলাপ হয়েছে।
২০১৫ সালের শেষ দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তারিখটি পরিবর্তন হতে পারে, এর আগেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ওচা।
গত ২১ আগস্ট থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন ওচা। পার্লামেন্টের ১৯৭ সদস্যের ভোটে তিনি নির্বাচিত হন।
এর আগে পেউ থাই পার্টিসহ রাজনৈতিক দলগুলো চলমান সংকট নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২০ মে থাইল্যান্ডে মার্শাল ল’ (সামরিক আইন) জারি করে সেনাবাহিনী। সে সময় থেকে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
মার্শাল ল’ জারির পর টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে সেনাপ্রধান প্রাউত চ্যান-ওচা বলেন, শান্তি ও আইনের শাসন ধরে রাখতে মার্শাল ল’ জারি করা হলো, তবে এটা কোনো ধরনের ‘অভ্যুত্থান নয়’।
ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে আদালতের নির্দেশে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ইংলাক তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকে দুর্নীতির দায় থেকে বাঁচাতে এবং তার পরামর্শে রাষ্ট্র চালাচ্ছেন অভিযোগ করে গত অক্টোবর থেকে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু করে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাউগসুবানের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ইংলাক। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে প্রধান বিরোধী দল অভিজিৎ ভেজাজিভার নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেট পার্টিও নির্বাচন বর্জন করে।
নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণে গত ১৪ মে নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা এ নিয়ে বৈঠকে বসার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তা স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়ধ ০৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৪