নিউইয়র্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ ওয়ালটার ব্রিউনিং মৃত্যুবরণ করেছন। শুক্রবার ১১৪ বছর বয়সে মনটানার গ্রেট ফল হাসপাতালে স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে তার।
বহু অজ্ঞিতায় ঋদ্ধ এ মানুষটি পৃথিবীর স্বীকৃত সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৮৬০’র দশকে আমেরিকার গৃহযুদ্ধে তার দাদার অংশগ্রহণ এবং সে সময়ের গণহত্যার স্মৃতি তার স্পষ্ট মনে ছিল। গৃহযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল তিন বছর।
তিনি বলতেন, ওটা ছিল একটা অবর্ণনীয় জাহান্ন্াম।
সাবেক এ রেলওয়ে করণিক জীবনের শেষ বছরগুলোতে মনটানায় বসবাস করছিলেন। এ সময় ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।
তার এ দীর্ঘায়ুর পেছনের কারণ মূলত পরিমিত খাবার। তিনি দিনে মাত্র দুই বার খাদ্য গ্রহণ করতেন। গত বছরের অক্টোবরে সংবাদ সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এদেশে কতজন মানুষ আছে যারা বলে তারা শরীরের ওজন কমাতে পারছে না?’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলছি, পরিমিত খাবার খান তাহলেই দেখবেন আপনি সুন্দর গঠনের অধিাকরী হবেন। আর এতে ভাল বোধও হবে। ’
১৯৮০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। তার ৩৫ বছরের জীবনসঙ্গী অ্যাগনেস টাওকি মারা যান ১৯৫৭ সালে। তাদের কোনো সন্তান-সন্ততি নেই।
মৃত্যু সম্পর্কে তিনি এপির কাছে বলে, আমরা সবাই মৃত্যুর দিকেই যাচ্ছি। কিছু মানুষ মৃত্যুকে খুব ভয় পায়। মৃত্যুকে কখনোই ভয় পেয়ো না। কারণ তুমি জন্মেছ মরার জন্যই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১১