দিল্লি: ভারতের মানবাধিকারকর্মী বিনায়ক সেন রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার দিল্লি সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে চরমপন্থী সংগঠন নক্সালদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে রাষ্ট্রদোহিতার মামলায় নিম্ন আদালত তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দিয়েছিলেন।
জামিন দেওয়ার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের পক্ষে বিনায়ক সেনের বিরুদ্ধে যেসব প্রমাণ উত্থাপন করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। এছাড়া, তার কাছে নক্সাল সাহিত্য থাকলেই তাদের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা প্রামাণিত হয় না। যেমন কারো কাছে গান্ধির জীবনীগ্রন্থ থাকলেই তাকে গান্ধিবাদী বলা যায় না।
বিনায়ক সেনের জামিন আবেদন নাকচ করে ছত্তিশগড় হাইকোর্টের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে করা পিটিশনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিচারপতি এইচএস বেদি এবং সিকে প্রসাদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এ নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং বলেন, আমরা সব সময় আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখায়। আদালত শুধু বিনায়ক সেনের জামিন দিয়েছেন। বিলাসপুর উচ্চ আদালতে তার বিরুদ্ধে অন্য আইনি প্রক্রিয়া চলবে। রায় যাই হোক আমরা এর প্রতি অবশ্যই সম্মান দেখাব।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড় আদালতের দেওয়া নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন বিনায়ক সেন। কোনো যৌক্তিক সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন নি বলে অবিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিনায়ক সেনকে ২০০৭ সালে ছত্তিশগড়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এর দুই বছর পরই তিনি জামিন পান। ২০০৮ সালে জেলে থাকা অবস্থায় তিনি জনাথন ম্যান পুরষ্কার পান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১১