লন্ডন: সাধারণ ভোক্তা ও সরকারের অজান্তেই ব্রিটেনের খাদ্য শৃঙ্খলে গত বছর ক্লোন গরুর বাছুরের মাংসের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ব্রিটিশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এতথ্য জানান।
এর আগে ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন সংবাদপত্রে কোন গরুর দুধ জনসাধারনের খাওয়ার জন্য বাজারজাত করা হচ্ছে এরকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটির তদন্ত করার সময় দ্য ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি (এফএসএ) এ বিষয়টি আবিষ্কার করে।
তদন্ত চলাকালে কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের একটি ক্লোন গরুর ভ্রুণ থেকে ব্রিটেনে জন্মানো দুটি ষাঁড়কে চিহ্নিত করেছেন যার দুটিকে বহু আগেই জবাই করা হয়েছে।
এফএসএ জানায় এর মধ্যে একটি ষাঁড়ের মাংস “ইতিমধ্যেই লোকজন খেয়ে ফেলেছে”। তবে অন্যটির মাংশ খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, “দান্তে প্যারাট্রুপার নামের প্রথম ষাড়টির জন্ম ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে এবং এটিকে জবাই করা হয় ২০০৯ এর জুলাইতে। এ পশুটির মাংস খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করেছে এবং তা খাওয়াও হয়েছে। ”
অন্যদিকে “দান্তে পারফেক্ট নামের দ্বিতীয় ষাড়টির জন্ম ২০০৭ সালের মার্চে এবং একে ২০১০ সালের ২৭ জুলাই জবাই করা হয়। তবে এ পশুটির মাংস খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। ”
এদিকে খাদ্য শৃঙ্খলে ক্লোন পশুর মাংশের অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এর বিরোধিতাকারী। ক্লোন খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকীস্বরূপ এবং এটি জেনেটিক বৈচিত্র কমিয়ে ফেলতে পারে বলে ও মন্তব্য করেন তাঁরা।
তবে ডেইরি ইউকে নামের ব্রিটেনের প্রধান দুগ্ধ খামার একটি বিবৃতিতে বলে, “ক্লোন গরুর দুধ ও মাংসে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই। ”
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী ক্লোন পশু থেকে উৎপন্ন দুধসহ অন্যান্য খাদ্যসমাগ্রীর বাজারে প্রবেশের আগে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১০