সিউল: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মুয়াং-বাক রোববার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক সাবেক প্রাদেশিক গভর্নরের নাম ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে সাতজন মন্ত্রীকে বদল করে তাঁদের স্থলে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কোরীয় সংসদ প্রধানমন্ত্রী পদে কিম তাই-হো’র (৪৭) নিয়োগ অনুমোদন করলে তিনিই হবেন দেশটির গত ৪০ বছরের ইতিহাসে কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট লি তাঁর পাঁচ বছর মেয়াদের অর্ধেক সময় পার করার পর এই অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ঘোষণা দিলেন। লি’র ঘোষিত নতুন সাতজন মন্ত্রী হলেন লি জু-হো (শিক্ষা), শিন জাই-মিন (সংস্কৃতি), ইউ জিওং-বক (কৃষি), লি জাই-হুন (জ্ঞান-অর্থনীতি মন্ত্রণালয়), চিন সু-হি (স্বাস্থ্য), বাহ্ক জাই-ওয়ান (শ্রম) এবং লি জাই-ওহ্ (স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স)।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হং সাঙ-পিও বলেন, “যোগাযোগ ও অখন্ডতার নীতির উপর ভিত্তি করে সীমিত ব্যবহারিক প্রক্রিয়া দৃঢ় করাই এই পট পরিবর্তনের লক্ষ্য। ” তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে দক্ষিণ গিয়ংসাং প্রদেশের প্রাক্তণ গভর্নর কিম মূল ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হং বলেন গত ২ জুন এর স্থানীয় নির্বাচন ও ২৮ জুলাই এর উপ-নির্বাচনে উত্থাপিত দাবিগুলিরই প্রতিফলন ঘটেছে এই রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে।
সিউলের হ্যানইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক কিম কিউং-মিন বলেন, প্রেসিডেন্ট লি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী-পদগুলিতে কোনো রদবদল করেননি। এটিই প্রমাণ করে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণের নীতির কোন ধরনের পরিবর্তন হবে না।
তিনি আরো বলেন, “আমার মনে হয়, গত জুনের স্থানীয় নির্বাচনের পর বর্তমান প্রশাসন এই বিষয়টি ঠেকে শিখেছে যে, তরুণ ভোটারদের সঙ্গে তাঁদের সংযোগ আরো বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পদে কিম এর নাম প্রস্তাব করা থেকেই প্রমাণ হয় যে, সরকার তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে বদ্ধপরিকর। ”
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬.০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১০