ঢাকা: কাশ্মীরের উড়ি সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামলায় জড়িতদের কেউই রেহাই পাবে না।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে ওই হামলার পর এক টুইট বার্তায় তিনি এ হুঁশিয়ারি বার্তা দেন।
টুইট বার্তায় মোদি বলেন, হামলায় শহীদদের ত্যাগের কথা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। জাতিকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, হামলায় জড়িতদের কেউই রেহাই পাবে না।
প্রধানমন্ত্রী নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারে প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একইসঙ্গে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এ হামলার নিন্দা জানিয়ে হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জিও।
এদিকে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এ হামলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেও তা উড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা নাফিস জাকারিয়া বলেছেন, কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়া পাকিস্তানের দিকে ভারত অভিযোগের যে আঙুল তুলেছে তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
রাজনাথের অভিযোগ, হামলাকারীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও বিশেষভাবে সজ্জিত ছিল। হামলার ঘটনাকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ বলে মন্তব্য করেছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আরও হামলার আশঙ্কায় সর্তক করে কাশ্মীরজুড়ে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। রাজ্যটিতে চলতি বছর এটি ষষ্ঠ হামলার ঘটনা।
সংবাদমাধ্যম বলছে, হামলার পরপরই কাশ্মীরে ছুটে গেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পাড়িকর এবং সেনাবাহিনী প্রধান দালবির সিং সুহাগ। পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে নয়াদিল্লি।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তরেখা লাইন অব কন্ট্রোলের পাশে উড়ি সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনাটি ঘটে। সন্ত্রাসীরা ঘাঁটির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে অর্তকিত হামলা চালায়। তাদের ছোড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এতেই বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত হয়। সেনা সদস্যরা যখন কমান্ড পরিবর্তন করছিলেন, তখন হামলার ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬
জেডএস/এইচএ/