ঢাকা: সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মীরের উরি সেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক অবস্থা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের সীমান্ত রেখা ‘লাইন অব কন্ট্রোল’ অতিক্রম করে হামলা-পাল্টা হামলায় উভয় দেশের সেনা নিহতের ঘটনাও ঘটেছে।
দু’দেশের সীমান্তে এখনও সংঘর্ষ এবং গুলির ঘটনায় নিহতের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফের তিনবছর মেয়াদী দায়িত্ব শেষ হয়ে আসছে। সেই সঙ্গে আলোচনা চলছে কে হচ্ছেন পাকিস্তানের ১৬তম সেনাপ্রধান?
চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ অবসরে যাবেন। আর ২৯ নভেম্বর স্থলাভিষিক্ত হবেন নতুন কোনো সেনাপ্রধান।
এ নিয়ে দেশটিতে আলোচনা তুঙ্গে রয়েছে। সেনাপ্রধানের দৌড়ে রয়েছেন চারজন। তারা হলেন- চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জুবায়ের মেহমুদ হায়াত, মুলতান কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইশফাক নাদিম আহমেদ, বাহাওয়ালপুরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ ইকবাল রামদি ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
দেশটিতে ৫ লাখ ৫০ হাজার সেনা সদস্য রয়েছে। ২০১৩ সালে দুইজনকে টেক্কা দিয়ে রাহিল শরিফ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান। এবার নতুন সেনাপ্রধান কে হচ্ছেন? এবং তার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক। সেদিক থেকে সেনাপ্রধান বিষয়ক আলোচনাটি এখন টক অব কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
সেনাপ্রধানের দৌড়ে থাকাদের অভিজ্ঞতা ও দায়িত্ব
জুবায়ের মেহমুদ হায়াত
২০১৫ সাল থেকে সেনাবাহিনীর রাওয়ালপিন্ডি সদর দফতরে চিফ অব জেনারেল স্টাফের দায়িত্ব পালন করছেন। নওয়াজ শরিফ ও অর্থমন্ত্রী ইসাহাক দারের সঙ্গে কাজ করেন।
ইশফাক নাদিম আহমেদ
দেশটির সেনাবাহিনী চতুর্থ সর্বোচ্চ পদাধিকারী। তিনি মুলতানের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির ৬২তম লং কোর্সের মাধ্যমে।
জাভেদ ইকবাল রামদি
নওয়াজ শরিফের প্রিয় মানুষ হিসেবে পছন্দের এ কর্মকর্তা বাহাওয়ালপুরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কামার জাভেদ বাজওয়া
তার জাতিসংঘ মিশনে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি তার মেয়াদ শেষ হলেও তিনি তিন বছর মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। তবে বর্তমান জেনারেল রাহিল শরিফ মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আবেদন করেননি। ফলে রাহিলের সেনা ক্যারিয়ার এখানেই সমাপ্তি।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, সম্ভাব্য তিন সেনাপ্রধানের নামের তালিকা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠান। প্রধানমন্ত্রী সেই তালিকা বিচার-বিশ্লেষণ আগামী তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষটি চূড়ান্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৬/ আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা
টিআই