লন্ডন: ইসরায়েল ও ইরান বিষয়ে তুরস্কের অবস্থান সম্পর্কে দেশটিকে সতর্ক করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি আরও বলেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র অর্জনের সুযোগ কমে যেতে পারে তুরস্কের।
সোমবার ব্রিটেনভিত্তিক ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়িপ এরদোগান তুর্কি বিদ্রোহীদের হামলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ড্রোন বিমান কিনতে চান। ২০১১ সালে ইরাক থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার পর তুরস্ক তাদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করবে।
কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) নামের ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইরাকের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান নিয়েছে। ওই এলাকাটি তুরস্কের সীমান্তের কাছাকাছি।
উর্দ্ধতন একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই পত্রিকাটি জানায়, “প্রেসিডেন্ট (ওবামা) এরদোগানকে বলেছেন যে, তার কয়েকটি পদেেপর কারণে কংগ্রেসে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ”
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, “প্রশ্ন উঠেছে মিত্র হিসেবে আমরা তুরস্কের ওপর আস্থা রাখব কিনা। এর অর্থ হলো, অস্ত্র সরবরাহসহ যেসকল অনুরোধ তুরস্ক করেছে মার্কিন কংগ্রেসের মাধ্যমে সেগুলো রা করা কঠিন হয়ে পড়বে। ”
গত জুন মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইরাকের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তুরস্ক। তুরস্কের মত ছিলো, পরমাণু জ্বালানি বিনিময় বিষয়ে ইরানকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া উচিৎ।
এদিকে, গত ৩১ মে গাজা অভিমুখী একটি নৌযান বহরে ইসায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার ঘটনায় ৯ জন তুরস্কের নাগরিক নিহত হয়। এরপর থেকে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্ক সংকটের মধ্যে পড়ে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০