ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে সোমবার স্বল্প সময়ের জন্য বৃষ্টি থামলেও বন্যা-আক্রান্ত লাখ লাখ মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌছচ্ছে ধীরগতিতে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, পাঞ্জাবে ইন্দুস নদীর পানি কমছে।
রোববার পাকিস্তানে সফরকালে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বিদেশি দাতাগোষ্ঠীদের ত্রাণ সহায়তা দ্রুত দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বন্যা পরবর্তী সময়ে আরও য়তি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন।
সাম্প্রতিক বন্যায় পাকিস্তানের ১৭ কোটি জনসংখ্যার এক-দশমাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক কামার-উজ-জামান বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘পাঞ্জাবে নদীর পানির উচ্চতা কমছে এবং পরবর্তী চার-পাঁচ দিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হবে। তবে এতে বন্যা হবে না। ’
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘যেসব অঞ্চলে বাঁধে ফাটল হয়েছে সেসব অঞ্চলের সমতলে বন্যার পানির প্রবাহ থাকবে। ’
পাকিস্তানের শতশত গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। মহাসড়কগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার মানুষ রাস্তার ধারে তেরপলের তাঁবু নির্মাণ করে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বন্যায় ১৬০০র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সবমিলিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটিরও বেশি মানুষ।
পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর নেভা খান বলেন, ‘যে গতিতে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে তা আতঙ্কজনক। ’
নেভা খান আরও বলেন, ‘অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে বিশুদ্ধ পানি, ল্যাট্রিন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য সাম্রগ্রী পৌঁছনো দরকার। তবে যে সম্পদ আছে তা দিয়ে চাহিদার মাত্র একটি অংশ পূরণ করা সম্ভব। ’
জাতিসংঘের মুখপাত্র মৌরিজিও গিলিয়ানো বলেন, ‘মানবাধিকার সংস্থা হিসেবে আমরা সবোচ্চ সতর্কতার মধ্যে আছি। কারণ আমাদের যেকোনো অবস্থার জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা জানি না, পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। আরও বন্যা হতে পারে। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১০