কাঠমান্ডু: চারবার ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নেপাল। বুধবার পঞ্চমবারের মত নেপালের সংসদ নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ হবে।
এবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে মাওবাদী নেতা পু®পকমল দহল এবং সংসদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে জয়ী নেপালি কংগ্রেসের নেতা রাম চন্দ্র পদেলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
তবে তৃতীয় বৃহত্তর দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল -ইউনিফিক্স মার্কিস্ট লেনিনিস্ট (ইউএমএল) দুইজনের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। তারা দুই নেতাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সরকার গঠনের জন্য আহবান জানিয়েছে।
এদিকে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক এ সংকটে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে দেশটির।
বিরোধী মওবাদী দলকে নিয়ে অংশীদারিত্বের সরকার গঠনে গত মে মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সম্মত হয়েছেন। কিন্তু নতুন প্রশাসনের গঠন কাঠামোর বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একমত হতে ব্যর্থ হয়। পরে চলতি মাসের শুরুতে দ্রুত শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠানোর জন্য নয়াদিল্লির কাছে আহ্বান জানায় নেপাল ।
তবে অনেকে মনে করছেন, স্থিতিশীল সরকার গঠনে সহায়তা করতে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করলেও মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহলের ক্ষমতায় যাওয়া বন্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য। কেননা প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে খোলাখুলিভাবে ভারতের সমালোচনা করে আসছেন তিনি ।
ভারত বহুদিন ধরেই নেপালের রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রেখেছে। এছাড়া দেশটির সব আমদানি-রপ্তানিই ভারতের ভেতর দিয়ে হয়ে থাকে। ভারত ও চীনের মত এশিয়ার শক্তিধর দুটি দেশেই রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামোগত প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশটিতে দিন দিন তাদের প্রভাব বাড়িয়েই চলেছে। তবে নেপালের রাজনীতির তুলনায় তিব্বতী শরণার্থীদের প্রতিই চীনের আগ্রহ বেশি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১০