সম্প্রতি ইসলামিক জঙ্গি তৎপরতা ও ইরানকে সহযোগিতা করার কারণে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বিছিন্ন হয় দেশটি।
মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় দুই মিলিয়ন ফিলিপাইনি কাজ করে তার মধ্যে ১৪০০০০ ও বেশি আছে কাতারে।
দেশটির সরকার হঠাৎ আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির প্রবাসী শ্রমিকদের উপরে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে চিন্তিত।
ফিলিপাইনের শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক ‘সিলভাস্ট্রি বেলো’ বলেন, “পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার আগে এ নিষেধাজ্ঞা চলবে। ”
মঙ্গলবার ( ৬ জুন) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি আরও জানান, “এ নিয়ে অনেক গুজব চলছে, যার ফলাফল ভালো হবে না। ”
ফিলিপাইনের সেন্ট্রাল ব্যাংক এক হিসাবে জানায়, গত বছর ২৬.৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার রাজস্ব প্রবাসী শ্রমিকদের মাধ্যমে আয় করে।
ফিলিপাইন সরকার বলেন, সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হচ্ছে কাতারে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে, কেননা তারা ৯০ ভাগ আমদানি করে।
যদিও সোমবার (৫ জুন) কাতার সরকার জানায়, তারা প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে যাতে এ অবরোধের সময়টায় জীবনযাপনে কোনো দুঃশ্চিন্তা না করতে হয়।
কাতার বৈদেশিক শ্রমিকদের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল একটি দেশ, যার অর্ধেক প্রায় ২.৫ মিলিয়ন আসে সমুদ্র ওপারের দেশসমূহ থেকে।
এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের বহু সংখ্যক শ্রমিকও কাতারে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ জুন ০৮, ২০১৭
এমএ/এএটি/