নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৪ কোটি ৭ লাখের মতো ভোটার।
যদিও দেশটির পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল নাগাদ জানা যাবে কে হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির তেরেসা মে, না প্রধান বিরোধী দল লেবারের জেরেমি করবিন।
অবশ্য এই প্রধান দুই দল ছাড়াও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে লিবারেল ডেমোক্রেট (লিবডেম), ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টিসহ (ইউকিপ) আরও কয়েকটি দল। শুক্রবার ভোর থেকেই ফল প্রকাশ হতে শুরু করবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন জরিপে কনজারভেটিভ নেত্রী তেরেসা এগিয়ে থাকলেও শেষ দিকের জরিপে তাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন করবিন। তাই শেষ মুহূর্তে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এবারের নির্বাচনে প্রচারের শুরু থেকেই প্রধান ইস্যু অভিবাসন, সমাজকল্যাণ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট। তবে ব্রিটিশ নাগরিকরা এবারের নির্বাচনে মূলত কোন দলের নীতি তাদের আয় বাড়াবে, সেদিকটা বড় করে ভাবছেন। তবে লন্ডন ও ম্যানচেস্টারের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিকে রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা ইস্যুও বড় হয়ে ওঠে।
নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও লেবার পার্টির জেরেমি করবিনের মধ্যে। সর্বশেষ জরিপে লেবার পার্টির চেয়ে মাত্র এক পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বুধবার স্থানীয় সময় মাঝরাতে প্রচার শেষে করেন রাজনৈতিক দলগুলো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, আজকের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে টোরিরা। তাদের অভিমত একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে কমপক্ষে ৩২৬ আসনে বিজয়ী হতে হবে কোনো দলকে।
নির্বাচনে বিভিন্ন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪ জন বাঙালি প্রার্থী। প্রার্থীদের মধ্যে আছেন গত নির্বাচনে লেবারের টিকেটে নির্বাচিত রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দীক ও রূপা হক।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এমএইউ/