বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে নিক্ষিপ্ত এই ক্ষেপণাস্ত্র ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) উড়ে গিয়ে জাপান সাগরে পড়ে। তবে তা জাপানি জলসীমা ছিল না।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বাধার সৃষ্টি করবে।
ঠিক একই স্থান থেকেই গত ২৯ মে আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। ৪৫০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে সাগরে পড়া সেই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘নতুন মডেলের’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়ার উপর্যুপরি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার তাদের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ক’জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে একটি প্রস্তাব পাস করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। তারও আগে থেকে জাপান সাগরে রণতরীসহ সামরিক উপস্থিতি বাড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেই প্রস্তাব বা মার্কিন রণসাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই যেন বৃহস্পতিবার এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হলো।
যদিও শান্তি ফেরাতে দক্ষিণ কোরিয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা বিতর্কিত মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ‘সিস্টেম টার্মিনাল হাই অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম’ বা থাড আপাতত সক্রিয় করছে না, কিন্তু উত্তরের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তাদের এ বিষয়ে পুনরায় ভাবাতে বাধ্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এমএ/আইএ/এইচএ/