প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বরাবর দেওয়া পদত্যাগপত্রে নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বেশিরভাগকেই মিথ্যা বললেও ফ্যালন স্বীকার করেন, তার ‘অতীতের আচরণ’ ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীকে প্রতিনিধিত্ব করার মানের চেয়ে ‘নিম্নতর’ ছিল বলে মনে করেন তিনি।
চিঠিতে ফ্যালন বলেন, ‘সম্প্রতি এমপিদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ছড়িয়েছে, এমনকি আমার অতীতের কিছু আচরণও এতে যোগ হয়েছে।
সম্প্রতি হলিউড প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে তারকা অভিনেত্রীসহ নারীদের যৌন নিপীড়নের গণ-অভিযোগ ওঠে। এরপর বিশ্বের সচেতন নারীরা নিজেদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে থাকেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মি টু’ হ্যাশট্যাগ প্রচারণা শুরুর মাধ্যমে।
তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের সঙ্গে কাজ করা কর্মীরা যৌন নিপীড়নমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে কয়েকডজন এমপির একটি তালিকা প্রকাশ করেন। বিরোধী দল লেবার পার্টির সদস্যের বিরুদ্ধেও উঠেছে এমন অভিযোগ।
একটি সূত্র মতে, বুধবার নতুন করে ফ্যালনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পদত্যাগ করেন তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিট কোনো মন্তব্য করেনি।
তবে ফ্যালনের পদত্যাগপত্র কার্যালয়ে গেলে তা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় মন্ত্রী হিসেবে ফ্যালনের দীর্ঘ জনসেবার বিষয়টি স্মরণ করেন তিনি। ৬৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক চার প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন দফতরের দায়িত্ব সামলান।
পদত্যাগের একদিন আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মুখপাত্র জানান, ফ্যালন ২০০২ সালে এক নৈশভোজে সাংবাদিক জুলিয়া হার্টলি-ব্রুয়ারের হাঁটুতে হাত রেখেছিলেন। সেজন্য অবশ্য তখনই ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
যদিও ফ্যালনের পদত্যাগের পর সাংবাদিক জুলিয়া টুইট করে বলেন, ‘নিগেট’ (#Kneegate, আমার হাঁটুই পদত্যাগের কারণ বলে আমি মনে করছি না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এইচএ/