শুক্রবার (১০ নভেম্বর) তালাবদ্ধ ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গীতার হাত পেছনে শিকল দিয়ে বাঁধা এবং সেখানে একটি বড় তালা লাগানো ছিল।
গীতা বলেন, ‘তারা (ভাই-ভাবি) আমাকে বন্দী করে রেখেছেন। আর দুই দিনে একবার মরিচের গুঁড়া মেশানো ভাত দেওয়া হতো খাবারের জন্যে। ছেঁড়া কাপড়-চোপড় দেওয়া হতো আমায় এবং বাড়ি থেকে বাইরে যেতে দেওয়া হতো না। ’
‘এমনকি টয়লেটে যেতেও আমাকে অনুমতি দেওয়া হতো না। ’
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই তরুণী কতদিন ধরে আটক রয়েছেন-তা খোলাসা করে জানা যায়নি। তরুণী দাবি করেছেন, তিনি স্নাতক পাস। স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন।
উদ্ধারের পর নিজ থেকেই ওই তরুণী এসব গল্প বলেছিলেন। এমনকি ভাইদেরও চিনতে পেরেছেন তিনি। তবে মাকে দেখেও চিনতে পারেননি বছর পচিশের এই তরুণী।
তবে পরিবারের লোকজন বলছে, গীতা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তার এক ভাই রমেশ সাংবাদিকদের জানান, গীতার হাতের বাঁধন খুলে দিলে বাড়ির বাইরে গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে।
এদিকে উদ্ধারের পর গীতার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অনন্ত শর্মা বলেন, এখনও ওই তরুণী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে আদালতে হাজির করা হবে ও হায়দ্রাবাদে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এমএ/