ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে ১৭ মাসে ১৮০০ পরিবার বিচ্ছিন্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৮
ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে ১৭ মাসে ১৮০০ পরিবার বিচ্ছিন্ন ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবল বল প্রয়োগ নীতির কারণে ১৭ মাসে প্রায় ১৮০০ পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়ে বলেন, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই সংখ্যক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়।

প্রথমবারের মতো পরিবার বিচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানালো মার্কিন প্রশাসন। এর আগে মে মাসে কেবল দুই সপ্তাহের পরিবার বিচ্ছেদের সংখ্যা জানানো হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি নিখুঁত পরিসংখ্যানটা জানারে পারবেন না, কিন্তু এটা স্বীকার করেন যে, প্রশাসনের নতুন নীতির কারণে ক্রমশ সীমান্তে পরিবার বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।  

চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জিফ সিশনস যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেন। দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে বলেও তিনি জানান। ফলে মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যেতে হয় অনেক শিশুকে।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত রক্ষার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ নীতির কারণে চলতি বছরের মে মাসের ৬ থেকে ১৯ তারিখে ৬৩৮ জন বাবা-মায়ের কাছ থেকে ৬৫৮ শিশু বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেই হিসেবে হয়তো দেখা যাবে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ২,৪০০ জন ছাড়িয়ে গেছে।

অভিবাসন ও শিশু অ্যাডভোকেট এবং ডেমোক্রেটিক আইনজীবীদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে পরিবার বিচ্ছিন্ন হওয়ার চর্চার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদিকে প্রশাসন বলছে, তারা শিশুদের রক্ষা করছে। তাছাড়া পরিবারের অবস্থা যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দাবি, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছেদ ঘটেছে চিকিৎসা অথবা নিরাপত্তাজনিত কারণে।              

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এএইচ/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।