ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে সামুদ্রিক ঝড় ফণী। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় দুইশ’ কিলোমটারের বেশি থাকতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়ের গতিপথে থাকায় বৃহস্পতিবার (০২ মে) থেকে উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্তত আট লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কয়েক হাজার কর্মীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বিশেষ ত্রাণ কমিশনার বিষ্ণুপদ শেঠী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মুখে থাকা লোকজনকে নিরাপদ সরিয়ে নিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। খোলা হয়েছে প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (নং-২৮) বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এই অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
জেডএস/এইচএ/