আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের ঠাণ্ডার রাজধানী নামে পরিচিত। বছরের বেশির ভাগ সময়ই এখানে বরফ পড়ে।
দেশটির এক আবহাওয়াবিদ বলছেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বুধবার (০৮ মে)। এ দিন বিকেলে রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অতিক্রম করেছিল ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি। একইসঙ্গে সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবারের (১০ মে) পরে রাজ্যে ছোটখাটো ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। একেতো জম্মু ও কাশ্মীরবাসীর সবসময় ঠাণ্ডা সয়ে অভ্যাস, তার ওপর আবার এখনের তীব্র গরম- সব মিলে টানা কয়েকদিনের তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজ্যটির জনজীবন। অসহনীয় গরমে অস্বস্তিতে সময় পার করছেন হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ।
দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে যথাক্রমে ৪১ ডিগ্রি এবং ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঘণ্টায় মাত্র আট কিলোমিটার বেগে আছে বাতাস। এমন তাপদাহের প্রতিকূল আবহাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দিল্লিবাসীর জীবন। এছাড়া অতিষ্ঠ হলেও কয়েকদিনের মধ্যে কিছু করার নেই; কারণ শুক্রবার পর্যন্ত দিল্লিতে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
যদিও শুক্রবার ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও ছোটখাটো ঝড় হতে পারে দিল্লিতে। একইসঙ্গে আসছে ১২ এবং ১৩ মে শহরটিতে হালকা বৃষ্টি এবং মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস দিচ্ছেন দিল্লির আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
টিএ