স্পিকার বলেছেন, শনিবারও (১৯ অক্টোবর) খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তিটির ওপর প্রস্তাব আনা হয়েছিল আইনপ্রণেতাদের সামনে। আবার একই ‘বিতর্কিত’ প্রস্তাব আনা হলে এটি ‘পুনরাবৃত্তিমূলক’ এবং ‘অব্যবস্থাপনামূলক’ হবে।
স্পিকারের এ সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সরকার। বলছে, বিষয়টি হতাশার। তবে প্রয়োজনীয় আইন প্রবর্তন করে এগিয়ে যাব।
স্পিকারের কঠোর সিদ্ধান্তের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র বলেছেন, স্পিকার আবারও আমাদের ব্রিটিশ জনগণের ইচ্ছে পূরণ করার সুযোগ অস্বীকার করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, সোমবার (২১ অক্টোবর) নতুন করে ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ভোটাভুটির আয়োজন করতে আবেদন করেছিল কনজারভেটিভ সরকার। কিন্তু তা ‘পুনরাবৃত্তিমূলক’ বলে প্রত্যাখ্যান করে দেন স্পিকার জন বার্কো।
এর আগে শনিবার হাউস অব কমন্সের বিশেষ সভায় এই চুক্তি উত্থাপন করার আগেই আরেক প্রস্তাবের ভোটে হেরে যান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রেক্সিট পেছানোর প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন কনজারভেটিভ ও বিরোধী দলের বেশির ভাগ সংসদ সদস্যরা। কেননা, ব্রেক্সিট সংশ্লিষ্ট সব আইন প্রণয়নের আগেই কোনো চুক্তিতে যেতে চাইছেন না তারা।
তখন হাউস অব কমন্সের স্বতন্ত্র সদস্য সাবেক ‘রক্ষণশীল’ মন্ত্রী স্যার অলিভার লেটউয়িনের তোলা প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়ে ৩২২টি এবং বিপক্ষে পড়ে ৩০৬টি।
স্থানীয় হিসেবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটেনের। এর ধারাবাহিকতায় অনেক অচলাবস্থা কাটিয়ে অবশেষে বরিস জনসন এবং ইইউ নেতারা এই বিচ্ছেদ হওয়ার জন্য ব্রাসেলসে নতুন একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিলেন। যা হাউস অব কমন্সে উত্থাপনেরই সুযোগ পাচ্ছে না। ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় সংসদ অর্থাৎ উভয়পক্ষের অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
টিএ