চলতি বছরের মে মাসেই সিংহাসন লাভ করেন নারুহিতো। বাবা আকিহিতো বয়স ও অসুস্থতার কারণে গত ৩০ এপ্রিল পদত্যাগ করার পর নিয়ম অনুযায়ী তারই সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, জাপানে প্রাচীন কিছু নিয়ম রক্ষার স্বার্থে নারুহিতোর অভিষেক পাঁচ মাস পিছিয়ে যায়।
কয়েক হাজার অতিথির সামনে প্রথা অনুসারে তাকামিকুরা সিংহাসনে এসে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেন নারুহিতো। এসময় তার পরনে ছিল ক হাজার বছর আগে নকশা করা হলদে-কমলা রঙের জাপান সম্রাটের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এসময় তার হাতে ছিল নতুন সম্রাটের রাজকীয় ফরমান লেখা কাগজ।
তার পাশে ১২ স্তরের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এসেছিলেন নারুহিতোর স্ত্রী ও নতুন সম্রাজ্ঞী মাসাকো। দু’জন সিংহাসনে ওঠার পর পর্দা উঠে যায় আর বাজতে থাকে রাজকীয় সঙ্গীত।
প্রাথমিক অভিবাদন শেষে সিংহাসনে দাঁড়িয়ে নারুহিতো বলেন, আমি প্রতিজ্ঞা করছি, জাপানের সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবো ও আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবো।
এসময় নারুহিতোর সামনে ‘পবিত্র তলোয়ার’, রত্ন ও সিলমোহর তুলে দেন প্রধান রাজকীয় অধ্যক্ষ। পরে, উপাসনালয়ে প্রার্থনা ও রাজদীক্ষা গ্রহণ করেন নারুহিতো।
প্রার্থনাশেষে নারুহিতোকে সম্মান জানাতে এগিয়ে যান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি বানজাই (দীর্ঘায়ু কামনা) পদ্ধতিতে সম্রাটকে বরণ করে নেন।
এসময় ড্রামের আওয়াজের সঙ্গে দাঁড়িয়ে নতুন সম্রাটকে জাপানি কায়দায় অভিবাদন জানান নেদারল্যান্ডের রাজা উইলিয়াম আলেক্সান্ডার, ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপসহ নানাদেশ থেকে আসা অতিথিরা। পরে, সম্রাটের আয়োজিত চা-পর্বে অংশ নেন তারা।
সম্রাট নারুহিতোর অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
জাপানে প্রশাসনিক, দাপ্তরিক সবকাজেই সরকার প্রধান ভূমিকা পালন করলেও জাতির প্রতীক হিসেবে এখনো সম্মানিত রাজ পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
কেএসডি/একে