সানফ্রান্সিসকো: সানফ্রান্সিসকোর কাছে গ্যাস সরবরাহ লাইনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয়ে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত ৩০ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে ধ্বংস হয়ে গেছে ১৭০ এরও বেশি ঘরবাড়ী। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় পরিসেবা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সানফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সান ব্রুনোর মাটির নিচে গ্যাস সরবরাহ পাইপে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে করে নিকটবর্তী ঘরবাড়িতে আগুন ধরে যায়।
দ্য সান ম্যাটিও কাউন্টি কর্ণারস অফিস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
সান ব্রুনোর কাইসার প্যারাম্যান্ট হাসপাতালের মুখপাত্র কার্ল সনকিন জানান, “৩০ জনের বেশি আহতকে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। অন্যান্যদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ”
তিনি বলেন, “সত্যি, এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! আমরা আমাদের সাধ্যমতো যত্ম নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ”
খবরে বলা হয়, প্রথম ৪ ঘণ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। পাশের ঘরবাড়িগুলোতে যখন আগুন জ্বলছিল, তখন দেখে মনে হচ্ছিল, এটি বোধ হয় কোনো যুদ্ধক্ষেত্র!
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দমকল বাহিনীর কর্মীরা যখন আগুন নেভানোর জন্য পানি ছিটিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন আগুনের গোলা ভয়াবহভাবে আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছিল।
সানফ্রান্সিসকোর দক্ষিণের শহর সান ব্রুনোর এক বাসিন্দা টিনা ডিলোইয়া তার অফিসে সন্তানকে সময় দেওয়ার সময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান।
তিনি তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, “আমি খুব নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানের মতো শব্দ শুনতে পেলাম। তারপর হঠাৎ করেই পুুরো ঘরটি দুলে উঠলো। ”
তিনি বলেন, “এর পর পরই আরো এটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনলাম। আমি বাইরে এসে দেখি, বাতাস থেকে ধ্বংসাবশেষ উড়ে পড়ছে।
বিস্ফোরণের শব্দে কাছের বিমানবন্দরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু আগামী শনিবার ৯/১১ হামলার ৯ম বার্ষিকী পালন করা হবে; সেহেতু আতঙ্কের মাত্রা ছিল খুবই বেশি। তবে এ ঘটনার সাথে হামলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১০