কলকাতা: কাশ্মির সমস্যা নিয়ে বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে কোনো সমাধান মেলেনি। এর ফলে কার্যত দিশেহারা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট সরকার।
নয়াদিল্লি সূত্র থেকে জানা গেছে, দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, প্রণব মুখার্জি, পি চিদাম্বরম, এল কে আদভানি, প্রকাশ কারাত, গুরদাস দাশগুপ্ত, এ বি বর্ধন, ডি রাজা, মুলায়ম সিং যাদব, রামবিলাস পাশোয়ান, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলিসহ ভারতের জাতীয় স্তরের নেতারা।
বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি ছিলেন কাশ্মিরের পিডিপি দলের নেত্রী মেহবুবা মুফতি। এই প্রথম কাশ্মির ইস্যুতে ডাকা কোনো আলোচনায় যোগ দিল দলটি।
বৈঠকে আরও ছিলেন জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘ভারত সরকারের লক্ষ্য হল যেভাবে কাশ্মীর উপত্যকায় যুব সমাজ হিংসায় লিপ্ত হয়েছে, তাদের সেখান থেকে সরিয়ে এনে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার সব রকমের প্রচেষ্ঠা চালাবে। ’
সিপিআই (এম)’র সম্পাদক প্রকাশ কারাত বলেন, ‘কাশ্মিরে সব দলের প্রতিনিধিদের যাওয়া উচিত। সর্বদলীয় বৈঠক যেমন দিল্লিতে হলো তেমনি কাশ্মিরে গিয়ে বৈঠক করাও দরকার। ’
এদিকে, কাশ্মিরে বিশেষ নিরাপত্তা আইন তুলে দেওয়া নিয়ে বুধবারের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ এ নিয়ে ইউপিএ’র শরিকদলগুলির মধ্যে যেমন প্রশ্ন আছে, তেমনি কংগ্রেসের ভেতরেও মতপার্থক্য আছে।
তবে বিশেষ নিরাপত্তা আইন তুলে নেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনী।
সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং বলেন, ‘কাশ্মিরের যে পরিস্থিতি, তাতে এ আইন প্রত্যাহার করলে হিতে বিপরীতই হবে। সেনাবাহিনীর মনোবল তলানিতে এসে ঠেকবে। ’
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল পিভি নায়েকেরও একই মত। তিনিি বলেন, ‘সেনাদের সুরক্ষার স্বার্থেই এ আইন বলবৎ রাখতে হবে। যাতে তারা আরো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০