ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চক্ষুদান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০
ভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চক্ষুদান

নয়া দিল্লি: স্কুলগামী শিবানি বাত্রার বয়স মাত্র ১২। সে প্রায়ই তার মাকে প্রশ্ন করে গোলাপি রং দেখতে কেমন।

পাশে থাকা মায়ের চোখ ছল ছল করে উঠে। দিল্লির এই মেয়েটা কর্নিয়াসংক্রান্ত অন্ধত্বে আক্রান্ত। ভারতের ২০ লাখ মানুষের এ সমস্যা রয়েছে।

তবে সবকিছু পরিবর্তিত হয়ে গেছে। ২০০৬ সালে শিবানির মা-বাবা জানতে পারেন যে, চক্ষু ব্যাংকের সহায়তায় কর্নিয়ার প্রতিস্থাপন সম্ভব। এমনকি শিবানির জন্য একজন চুদাতাও পাওয়া গেল। শিবানির জন্মগত অন্ধত্ব ঘোচানোর সুযোগ পাওয়া গেল। একটি অস্ত্রপচারের পর তার সামনে নতুন দুনিয়া খুলে গেল।

শিবানির মা রজনি বাত্রা বার্তাসংস্থা আইএএনএসকে বলেন, ‘আমরা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। তার সামনে পুরো জীবন পড়ে আছে। আমরা ওই ব্যক্তির (চক্ষুদাতা) কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। কাউকে আলো দিতে চাইলে সাহসের প্রয়োজন হয়। ’

ব্যক্তিখাত, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের আবির্ভাবের ফলে ভারতে চক্ষুদানের হার বেড়ে গেছে। কর্নিয়া প্রতিস্থাপনও বেড়ে যাচ্ছে তাদের জন্য যারা আলোর জন্য অপো করছে।

একটি অনচ্ছ কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করে আরেকটি পরিষ্কার কর্নিয়া বসানো হয়। পরিষ্কার কর্নিয়াটি দেয় একজন দাতা।

চক্ষু ব্যাংক ভেনু আই ইনস্টিটিউট-এর কর্মকর্তা জয়ীতা বোস বলেন, ‘আগে একজন মারা গেলে চোখ সংরণ করার কোনো পদ্ধতি ছিল না। তবে এখন, পর্যাপ্ত সংরণ পদ্ধতি ও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দাতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভারতে চুদান দিন দিন গতি পাচ্ছে। ’

সম্প্রতি আই ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার নিবন্ধন দেওয়া ৪০০টি চুব্যাংক রয়েছে। একইসঙ্গে চক্ষুদান ক্যাম্পও রয়েছে সেসব স্থানে।

বিশ্বের মোট অন্ধ জনগোষ্ঠীর এক চতুর্থাংশ রয়েছে ভারতে। দেশটিতে অন্ধত্ব একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।