সিউল: উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার ৬০ বছর আগে বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর একত্রীকরণের ব্যাপারে শুক্রবার বৈঠক করেছে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তারা। কোরীয় উপদ্বীপে বিষয়টি শান্তির চিহ্ণ বলে ভাবা হচ্ছে।
১৯৫০-৫৩ সালের যুদ্ধে কোরীয় উপদ্বীপ বিভক্ত হয়ে গেলে লাখো পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেসময় থেকেই বিচ্ছিন্ন আত্মীয়স্বজনদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়নি। চিঠি যোগাযোগ বা টেলিফোন সংযোগও ছিল না। এছাড়া অনেকেই জানেন না তার আত্মীয় বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান প্রতিনিধি কিম ইউ-দু উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোকে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে একত্রিত করা একটি জরুরি কাজ। আমাদের আর দেরি করা ঠিক হবে না। ’
সিউলের একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কায়েসং শহরের একটি হোটেলে গ্রিনিচ সময় ০১৩০টায় আলোচনা শুরু হয়েছে।
সিউলের ১৪ জন প্রতিনিধি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রেডক্রসের কর্মকর্তা ও একত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
গত বুধবার পিয়ংইয়ং সামরিক পর্যায়ে সীমান্ত, একত্রীকরণ ও অন্যান্য বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেয় দক্ষিণ কোরিয়াকে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১০