কাবুল: বিক্ষিপ্ত রকেট ও বোমা হামলা সত্ত্বেও শনিবার আফগানিস্তানে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচন ভন্ডুল করতে তালেবান জঙ্গিদের হুমকি মোকাবিলায় দেশ জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে ভোট কেন্দ্রের কাছে শনিবার তালেবান জঙ্গিদের রকেট হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে পূর্বাঞ্চলের কুনার প্রদেশে সংঘটিত হামলায় ৩ জন নিহত ও একজন আহত হন বলে প্রাদেশিক পুলিশের প্রধান খলিলুল্লাহ জিয়াই জানান।
অপর একটি মর্টার হামলায় উত্তরাঞ্চলের তাকহার প্রদেশে এক ব্যক্তি নিহত ও তার দুই ছেলে আহত হন। প্রদেশের মুখপাত্র ফাইজ মোহাম্মদ তাওহিদি এ কথা জানান।
এর আগে পূর্বাঞ্চলের অশান্ত নাগাহার প্রদেশে সকালে সংঘটিত রকেট হামলায় আরও দু’জন নিহত ও একজন আহত হন। একইসঙ্গে কান্দাহারের গভর্ণরকে বহনকারী গাড়ি বহরেও হামলা চালায় জঙ্গিরা।
হামলা ও হামলার হুমকি সত্ত্বেও সকাল থেকেই হাজার হাজার আফগান নাগরিককে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে। কাবুলের এক ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মোহাম্মদ জামান (৫০) বলেন, ‘আমি দেখাতে চাই যে আমি তালেবানদের ভয় পাইনা। ’
প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই নিজের ভোট দেওয়ার পর দেশের ‘উন্নত ভবিষ্যতের জন্য’ জনগণকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জনগণ ঘর থেকে বেরিয়ে আসবেন এবং চাপমুক্ত হয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। প্রচুর ভোট পড়বে বলে আমরা আশা করছি। ’
তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ও তালেবান জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি হওয়ায় ৫ হাজার ৮১৬ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও ১ হাজারেরও বেশি ভোট কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে।
সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার আফগান ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওলেসি জিরগা নামে পরিচিত সংসদের নিম্ন কক্ষের ২৪৯টি আসনের জন্য ২ হাজার ৫শ’রও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। এর মধ্যে ৪০৬ জন নারী প্রার্থী। তারা মূলত ৬৮টি সংরক্ষিত আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
স্থানীয় সময় বিকাল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে এবং একইসঙ্গে ভোট গণনার কাজও শুরু হবে। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১০