ওয়াশিংটন: দায়িত্বশীল নেতারা ইরানের নিয়ন্ত্রণ নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন। রোববার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।
এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিলারি বলেন, ‘ইরানের রাষ্ট্রীয় কাজ পরিচালনার জন্য জনগণ ও ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয় ঘটবে বলে আমি আশা করি। ’
হিলারি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সেনাবাহিনী, রেভ্যুলেশনারী গার্ড এবং অন্যান্য বেসামরিক ও সেনা সহকারী দল ক্রমাগতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ইরানের জনগণের জন্য এটা উদ্বেগের বিষয়। ইরান থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন আমরা পড়ে দেখেছি। এগুলো ইরানের জনগণের জন্য অনেক বেশি হতাশার। ’
হিলারি বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক নির্বাচন খুবই পক্ষপাত দুষ্ট হয়েছে। এর ফলে নির্বাচিতরা তাদের ক্ষমতাকে মজবুদ করতে সেনাবাহিনীকে কাছে টানছে। একারণে তাদের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনা উচিত। এছাড়া নির্বাচিত ও ধর্মীয় নেতৃত্বের দ্বৈত ক্ষমতায়নও উদ্বেগের বিষয়।
হিলারির মতে, অনেক ইরানি যারা প্রকৃত অর্থেই ধর্মীয় নেতাদের প্রতি সহানুভূতিশীল তারাও এ প্রথার বিরুদ্ধে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন ইরানের জনগণকে সাহায্য করার প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছেন বলে তিনি জানান ।
একইসঙ্গে ‘পি ৫ প্লাস ওয়ান’ নামের আলোচনায় ফিরে আসা এবং দেশটির পরমাণু সুবিধাগুলো পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশনকে সম্পূর্ণ অনুমতি দেওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবির কথাও উল্লেখ করেন হিলারি।
এদিকে ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাত্র তিন মাস পর ছয় বিশ্ব শক্তি আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে সাক্ষাৎ করবেন বলে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, ব্র্রিটেন ও রাশিয়ার মত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য এবং জার্মানির সম্বন্ময়ে গঠিত এ ছয় বিশ্বশক্তি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে থাকে।
ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সন্দেহ করলেও বরাবরই দৃঢ়ভাবে তা অস্বীকার করে আসছে তেহরান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১:২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১০