ঢাকা: মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আফগানিস্তানে চলমান বিক্ষোভ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তান ও লিবিয়াতে বিক্ষোভ হয়েছে।
শুক্রবার লিবিয়ার বেনগাজি শহরে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত পশ্চিমা সেনাদের একটি সমাধিক্ষেত্রে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
আফগানিস্তানে গত পাঁচ দিনের বিক্ষোভে শনিবার পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। এরমধ্যে কেবল শুক্রবারেই নিহত হয়েছে ১২ জন।
শনিবার আফগানিস্তানে পশ্চিমা বিরোধী বিক্ষোভ আরো জোরদার হয়েছে। এদিন কুন্দুজে জাতিসংঘের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও লোগারে বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে মারা গেছে ৬ জন। এছাড়া রাজধানী কাবুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে গুলি করে ন্যাটোর দুই কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই’র কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিলেও বিক্ষোভ এতুটুকু দমেনি।
এদিকে এই ঘটনায় শুক্রবার পাকিস্তানে বিক্ষোভ হয়েছে। এদিন দেশটির শত শত মানুষ ইসলামাবাদ, করাচি, মুলতানে মিছিল করেছে। এছাড়া দুপুরে জুমার নামাজের পর ইরাক, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র তুরস্ক কোরআন পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি বিবৃতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি কাবুলে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ন্যাটো সেনারা কোরআন ও অন্যান্য ইসলামী বই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেললে আফগানিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের সূচনা হয়। যদিও ন্যাটো এটিকে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে দাবি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১২