প্রযুক্তি বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা এখন নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বের রঙিন ছবি তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই টেলিস্কোপ।
১৯৯৬ সালে প্রথম জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বানানোর পরিকল্পনা করা হয়। ১৭টি দেশ মিলে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যার নেতৃত্বে রয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। পাশাপাশি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সিরও এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। যন্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে জেমস ই. ওয়েবের নামানুসারে। তিনি ছিলেন নাসার দ্বিতীয় প্রশাসক এবং অ্যাপোলো অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি মহাশূন্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২০২১ সালে যখন এই টেলিস্কোপ মহাকাশে পাড়ি দেয়, তখন খরচ দাঁড়ায় ১০০০ কোটি ডলার। টেলিস্কোপের মূল লক্ষ্য দুটি। এক, প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি বছর আগের মহাবিশ্বে জ্বলে ওঠা আদি নক্ষত্রগুলোর ছবি তোলা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দূরদূরান্তের গ্রহগুলো প্রাণ ধারণের উপযোগী কি না, তা খতিয়ে দেখা। তবে গ্রহাণুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই প্রজেক্ট দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টেলিস্কোপটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ছয়টি মাইক্রোমেটোরাইটের মধ্যে পাঁচটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের বড় আয়নায় আঘাত হানে। তবে এতে টেলিস্কোপের বড় ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা বলেছেন, ২২ থেকে ২৪ মের মধ্যে মাইক্রোমেটিওরয়েড সেগমেন্ট সি৩-তে আঘাত করেছিল গ্রহাণুটি। এতে ওই অংশের সামগ্রিক চিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটায় যা সংশোধন করা সম্ভব না। তবে এটি টেলিস্কোপটির ছোট অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। একটি প্যানেলের ক্ষতি হওয়ায় এটি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ছবি তোলার ক্ষমতাকে মোটেও প্রভাবিত করবে না।
সূত্র: ডেইলি মেইল
বাংলাদেশ সময় : ১৭৪৮ ঘণ্টা, ১৯ জুলাই, ২০২২
ইআর