মিয়ানমারের চার জন গণতন্ত্রপন্থির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির জান্তা সরকার। কয়েক দশকের মধ্যে এটি প্রথম মিয়ানমারে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের ঘটনা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাবেক এমপি ফিও জেয়া থাও, লেখক ও কর্মী কো জিমি, হ্লা মায়ো অং এবং অং থুরা জাওরকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
গত জুন মাসে সামরিক বাহিনী কর্তৃক প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। এরপরই বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
গত বছর মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। ওই সময় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরকারকে উৎখাত করা হয়। এরপরই মিয়ানমারে সেনাবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নৃশংস ও অমানবিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য নির্দেশনা, ব্যবস্থা ও ষড়যন্ত্রের দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
৫৩ বছর বয়সী কো জিমি বার্মিজ ১৯৮৮ সালে সেনাবিরোধী আন্দোলনের জন্য পরিচিত। ২০১২ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে তিনি গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনে জড়িত থাকার জন্য একাধিকবার কারাগারে ছিলেন।
ইয়াঙ্গুনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুকিয়ে রাখার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ফিও জেয়া থাও (৪১) এনএলডি দলের সাবেক এমপি এবং সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। থাও একজন হিপ-হপ শিল্পী যিনি সেনাবিরোধী গানের জন্য বিখ্যাত ছিলেন । সন্ত্রাসবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নভেম্বরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দুজন - হ্লা মিও অং এবং অং থুরা জাও - একজন নারীকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ওই নারী জান্তা সরকারের হয়ে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
চার জন গণতন্ত্রপন্থির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘জীবনের অধিকার, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তির নিরাপত্তার’ স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময় : ১০০৮ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০২২
ইআর