দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ঋণ নেওয়া মার্কিন শিক্ষার্থীরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। তাদের ঋণের অন্তত ১০ হাজার ডলার মওকুফ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর ঋণ মওকুফের এত বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তার এ ক্ষমা পরিকল্পনার আওতায় বছরে যারা ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার আয় করেন শুধু তারাই এ সুবিধার আওতায় আসবেন। যারা অনুদান সুবিদা পাননি তাদের ঋণের ১০ হাজার ডলার মওকুফ হবে। যারা ফেডারেল ঋণেও আওতায় আসেননি তাদের মওকুফ হবে ২০ হাজার ডলার।
স্থানীয় সময় বুধবার এক টুইটবার্তায় এ ঘোষণা দেন ডেমোক্রেট পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যারা এ সুবিধার আওতায় আসছেন, তাদের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত উত্তেজনার। কেননা, এখন থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে তাদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
গত কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে। যে কারণ সরকারের কাছে তারা ঋণ মওকুফের দাবি জানান।
বিশ্লেষকদের মধ্যে একটি অংশ বাইডেনের এ সিদ্ধান্তকে তার রাজনৈতিকে এজেন্ডা বলে মনে করেছেন। দেশটির অধিকারকর্মী ও আইন প্রণেতারা এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও তাদের ভাষ্য প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়।
যারা এখন পর্যন্ত এ সুবিধার আওতায় আসেননি তাদের নতুন করে আবেদনের সুযোগ রেখেছে বাইডেন প্রশাসন। আর যে ৪০ লাখ শিক্ষার্থী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তারা ঋণ মওকুফের সুবিধা পাবেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
বুধবার এ ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যাদের এ সুবিধা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তারাই এটি পাবেন। কর্মজীবী এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেরা মহামারির সময় বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। তাদের চাহিদা বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের ঋণ পরিশোধের ওপর যে স্থগিতাদেশ রয়েছে সেটি চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এতে করে ঋণে যাঁতাকলে পড়া শিক্ষার্থীরা নির্ভার হয়ে শ্বাস নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময় : ২১২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২২
এমজে