ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বসুন্ধরা এমডির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন ২৬ ওমরাহ পালনকারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
বসুন্ধরা এমডির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন ২৬ ওমরাহ পালনকারী ‍ওমরাহ করে আসা একজন হাজি অনুভূতি প্রকাশ করছেন। ছবি: জি এম মুজিবুর 

ঢাকা: মুসলমানদের পূণ্যভূমি সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় ওমরাহ হজ পালন শেষে প্রথম ধাপের ২৬ জন হাজীর কাফেলা দেশে পৌঁছেছে। নিজস্ব অর্থায়নে তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, বাজুস সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

প্রথম ধাপে ওমরাহ পালন করা হাজীরা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বসুন্ধরা এমডির প্রতি।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টা ৪০মিনিটে এয়ার এরাবিয়ার জি-৯৫১০ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারা। তারা সৌদি আরবে ১৪ দিন অবস্থান করেন এবং ওমরাহ পালন শেষ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন।

এই কাফেলার একজন খন্দকার আবদুল গাফফার (৫৮)। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায়। বায়তুল মোকাররম মার্কেটে টুপি ও আতর বিক্রি করেন তিনি। অনুভূতি জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমার জীবনে স্বপ্ন ছিল হজ পালন করার। অভাব অনটনের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ বসুন্ধরা এমডির কারণে সে সুযোগ হলো। এজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নাই।

ওমরাহ হজ করে আসা শফিকুল হাসান (৫৫) ঢাকার চকবাজারে থাকেন। তিনি একটি শো-রুমে চাকরি করেন। শফিকুল হাসান বলেন, আমি কোনোদিন কল্পনা করতে পারিনি হজ করতে পারব। আল্লাহ বসুন্ধরা এমডির উসিলায় আমার মনের ইচ্ছে পূরণ করেছেন। আমি প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে উনার জন্য দোয়া করেছি। কাবাঘরে হাত রেখে দোয়া করেছি।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন (৪৮)। বায়তুল মোকাররম মার্কেটে একটি দোকানের কর্মচারী তিনি। বাংলানিউজকে জয়নাল আবেদীন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এত আরামে আমরা পুরো ওমরাহ সম্পন্ন করতে পেরে অত্যন্ত খুশি। আল্লাহ সায়েম সাহেবকে এর উত্তম প্রতিদান দিন। ১৪ দিন আমরা খুব শান্তিতে হজ পালন করতে পেরেছি।

এ দিন মুসল্লিদের অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে আসেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মুসল্লি কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গুলজার আহম্মেদ। তিনি বলেন, গত রমজানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা জনাব সায়েম সোবহান আনভীর ৫০ হাজার মুসল্লিকে ইফতার করান। এরমধ্যে একদিন তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন। সে সময় তিনি ১০০ জন সামর্থ্যহীন ব্যক্তিকে ওমরাহ হজ করানোর ইচ্ছা পোষণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপের ২৬ জন ওমরাহ হজ পালন করে এসেছেন।

গুলজার আহম্মেদ আরও বলেন, এই ডিসেম্বরে আরও দুটি গ্রুপ যাবে এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সবাইকে পাঠানো হবে ওমরাহ হজের জন্য। প্রথমে ১০০ জনের কথা থাকলেও মোট ১০৪ জন ওমরাহ হজে যাচ্ছেন।

এর আগে, সৌদি আরবের উদ্দেশে ওমরাহ হজের প্রথম কাফেলাটি রওনা হয় ৪ ডিসেম্বর রোববার। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিল আয়োজনে করা হয়। একইসঙ্গে ওমরাহ যাত্রা উপলক্ষে সব ওমরাহ যাত্রীকে একটি করে নতুন পাঞ্জাবি ও শুকনো খাবার সৌজন্য উপহার দেওয়া হয়।  
পরে কাফেলাচি ওইদিন বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, বাজুস সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বিমানবন্দরে আরও উপস্থিত ছিলেন মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক।

পরে, হাজীরা বসুন্ধরার নিজস্ব পরিবহনে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
এমকে/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।