ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাঠ্যপুস্তকে চৌর্যবৃত্তিকারীদের শাস্তি চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
পাঠ্যপুস্তকে চৌর্যবৃত্তিকারীদের শাস্তি চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পাঠ্যপুস্তকে চৌর্যবৃত্তিকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এছাড়াও ভুলে ভরা পাঠ্যপুস্তক সরিয়ে নিয়ে সেই বইগুলো সংশোধন করে সঠিক তথ্য সম্বলিত বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরবরাহ করার দাবি জানান তারা।

 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পাঠ্যপুস্তকে চৌর্যবৃত্তি, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ, ইতিহাস বিকৃতি করার প্রতিবাদে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এই দাবি জানান তারা।  

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখার সাবেক সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ, সাবেক পরিবেশ সম্পাদক মানটিয়া আক্তার জামিলা প্রমুখ।  

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বাংলাদেশ আগে কৃষি প্রধান দেশ ছিল এখন বাংলাদেশ চোর প্রধান দেশে পরিণত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের নামে স্মার্ট চোরের আবির্ভাব হয়েছে। দেশে জুতা চুরি করলেও শাস্তি দেওয়া হয়। আর যারা জ্ঞান চুরি করে তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না? এটা কোন ভুল নয়, এটা অপরাধ।  

তিনি বলেন, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণীর ব‌ইগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ বাংলার ইতিহাস বিকৃতি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা আজ স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে স্মার্ট চুরি করার লাইসেন্স খুঁজছে। স্মার্ট বাংলাদেশের গল্প ভূয়া, এখন তরুণ প্রজন্ম এই গালগল্প আর খায় না। এসময় পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকতা সহ ইতিহাস বিকৃতি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।  

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে, শিশু-কিশোরদের মধ্যে ভুল ইতিহাস ও সাম্প্রদায়িকতা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা এই বইগুলো সম্পাদনের দায়িত্বে ছিলেন তাদের অনেকেই আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়েও এরকম ভুল করা খুবই লজ্জাস্কর ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত এই অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ডারউইনের ধারনামূলক বিবর্তনবাদ সহ নানা বিষয় পাঠ্যপুস্তকে উপস্থাপন করে বাংলাদেশকে একটি হার্ড সেকুলারিজম দেশে রূপান্তরিত করার অপপ্রচেষ্টা চলছে। সুলতানি আমলকে অত্যন্ত ছোট করে দেখানোর অভিযোগ এনে তারা বলেন ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনকে ব‌ইয়ে আধুনিক যুগ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিহাস বইয়ের বেশিরভাগ অংশে পালদের ইতিহাসকে তুলে ধরে সুলতানি আমলকে অত্যন্ত ছোট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এসকেবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।