ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঐকমত্য কমিশনের সনদেরই অংশ: প্রধান উপদেষ্টা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০১, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঐকমত্য কমিশনের সনদেরই অংশ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই। এটা ঐক্যমত্য কমিশনের সনদেরই অংশ।

আগামী ১৭ অক্টোবর ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন, এটি উৎসবমুখরভাবে হবে এবং সারা জাতি এতে শরিক হবে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অতি জরুরি বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।  

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হবেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এটা এই যে ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই অংশ এখন। এটার সঙ্গে এটা জড়িত। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বারবার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।

বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা। রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে যে কার্যক্রম সম্ভব করেছে সেটি শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয় বরং পৃথিবীর রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন। আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই সনদ ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী অধ্যায়। যে সংস্কারের কথা আমরা মুখে বলে যাচ্ছিলাম, আপনারা সেই সংস্কার, প্রকৃতপক্ষে যে সংস্কার হবে তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। কাজেই আমরা এই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সারা জাতি বড় রকমের উৎসবের মধ্যে আমরা শরিক হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করা হবে সেগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। মানুষ তাদের ভুলতে পারবে না। এটা এমন একটা ঘটনা যে ঘটনার ভেতরে থেকে এর বিশালত্ব বোঝা যাচ্ছে না। মাসের পর মাস বৈঠক করে হতাশা এসেছে, মনে হয়েছে এটা হয়তো অসমাপ্ত থেকে যাবে। তবে এটা অসমাপ্ত থেকে যায়নি। জুলাই সনদ জাতির জন্য একটা মস্ত বড় সম্পদ হয়ে রইলো।

তিনি আরও বলেন, যে দলিলগুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলো হারিয়ে যাবে না। এগুলো জনসাধারণের মধ্যে সহজ ভাষায় প্রচার করা হবে। যাতে করে সবার মনের মধ্যে থাকে কেন একমত হয়েছি। সরকার হিসেবে জুলাই সনদ ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তাদের। যে বিতর্কগুলো হয়েছে সেগুলোকে বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও করে ও বই করে রাখা হবে। যেন এগুলো সম্পদ হিসেবে থাকে, হারিয়ে না যায়। যাতে করে সবাই জানতে পারে কেমন জাতি গড়ার জন্য এগুলো করা হয়েছে।

এ সময় সনদ ও নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয় বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, উত্তরণটা কীভাবে হবে এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটার উত্তরও জুলাই সনদে দেওয়া আছে। এই উত্তর নিয়ে যেন সন্তোষভাবে উত্তরণটা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেভাবে রূপান্তরটি হবে। আমাদের পরিপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে আপনারা যত কষ্ট করে এগুলো রচনা করছেন, সেটা যেন আমরা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক মাধ্যমে যেন আমরা সেটাকে রূপান্তর করতে পারি। এই হলো আমাদের আশা। আগামী শুক্রবারে আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে নিয়ে আসবে।

আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাবে এবং এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ যারা প্রকৃত সই করছেন। সারা দেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এনডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।