রাজশাহী: বিদেশ ফেরত ছেলে ও তার বউয়ের মার খেয়ে তাদের বিচারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত থানায় যেতে হয়েছে মা আঙ্গুরা বেগমকে (৫০)।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মহিপাড়া গ্রামে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে থানায় যাওয়ার আগে তিনি এ ব্যাপারে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরেও নালিশ দিয়েছেন। এরপর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে থানায় যান ওই মা।
আঙ্গুরা বেগম জানান, সাইদুলই তার একমাত্র ছেলে। কিন্তু ভরণপোষণ না দেওয়াই একসাথে থাকলেও ছেলে ও তার বউয়ের কাছ থেকে আলাদা খান। মানুষের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এরপরও কোনো কিছু হলেই ছেলে ও তার বউ মিলে তাকে কথায় কথায় মারধর করেন। এ নিয়ে এর আগেও গ্রামে একাধিকবার সালিশ-বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এই সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। এ নিয়ে তাদের পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকতো। এমনই এক ঘটনায় আজকে সকালে ছেলের বউ তাকে ধরে মারধর করেন। দুপুরে ছেলে এসে পুরো ঘটনা না শুনেই তার সাথে আবারও বাগ-বিতণ্ডা করেন। পরে দুজনে মিলে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ছেলের বউ বটি দিয়ে তার শরীরে কোপ দেন। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তিনি এ ঘটনার একটা সুরাহা চান বলে থানায় অভিযোগ দিতে গিয়েছেন বলে জানান।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, আঙ্গুরা বেগমের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিকেলে এ ঘটনায় ছেলে ও ছেলের বউকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে যতটুকু বোঝা গেছে বিদেশ ফেরত ছেলের সাথে টাকা-পয়সা ও জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছেন আঙ্গুরা বেগমের। তাই স্থানীয়ভাবে ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে বসে পারিবারিকভাবে এই বিষয়টি আপস-মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। না হলে পরে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসএস/এএটি