ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সচিবালয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী’ কর্মচারীদের ৯ দফা দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
সচিবালয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী’ কর্মচারীদের ৯ দফা দাবি

ঢাকা: বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারীরা সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হয়েছেন। সচিবালয়ে কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাগণের পদনাম পরিবর্তন, পেশাগত ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, বেতন কমিশন গঠনসহ দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও হতাশা নিরসনের জন্য আবেদন জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতারা।

বুধবার (৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাউদ্দিন চৌধুরীর কাছে এসব দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি জানান, সরকারি চাকরিতে নিজেদের বিকশিত করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন দাবি-দাওয়া যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হলেও আজও কোন দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। উচ্চতর পদ সৃষ্টি, পদ সংরক্ষণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সংকুচিতকরণ, ৫০ শতাংশ পেনশন প্রদান, বাস্তবতার আলোকে পদনাম পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে কর্মচারীদের মাঝে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় পে-কমিশন, ২০১৫ ঘোষিত হওয়ার পর আজ অবধি বেতন কমিশন গঠন করা হয়নি।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সকল দ্রব্যের মূল্য ক্রমাগতভাবে আকাশচুম্বী ও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মচারীদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। নিম্নবেতনভুক্ত কর্মচারীরা পরিবার-পরিজনসহ জীবিকা নির্বাহে আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।  

এছাড়া বিগত ১৫-১৬ বছর যাবত কর্মচারীদের পেশাগত দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন না হওয়ায় কর্মচারীরা প্রশাসনিক, পারিবারিক ও সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করে অবিলম্বে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নয় দফা দাবি সিনিয়র সচিবের কাছে দাখিল করেন।

দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে- 

১) সচিবালয়ে কর্মরত নন-ক্যাডারের ৩৭০টি পদসহ প্রতিটি পদের এক তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণ।

২) প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাগণের পদবি উপ-সহকারী সচিব নামকরণ।

৩) গ্রেড ১১-১৬ এর কর্মচারীদের চারটি পদকে অতিরিক্ত উপ সহকারী সচিব।

৪) গ্রেড ১৭-২০ গ্রেডের চারটি পদকে সচিবালয় সহকারী হিসেবে নামকরণ।

৫) নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠন, পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল।

৬) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অবিলম্বে ২০ শতাংশ টিপটপ ভাতা প্রদান।

৭) শতভাগ পেনশন অবিলম্বে পুনর্বহাল।

৮) পেনশন গ্র্যাচুইটির হার ১:৫০০ টাকা অবিলম্বে নির্ধারণ এবং

৯) সচিবালয়ে সব শ্রেণির ব্লকড পদ বিলুপ্ত করে সমপদনাম বা মর্যাদা ও বেতন গ্রেডের পদে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানানো হয়েছে।

এসব দাবিসমূহ বাস্তবায়ন ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সচিবালয়ের প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে একজন করে সমন্বয়কের মাধ্যমে পদনাম পরিবর্তন ও নবম পে-কমিশন অবিলম্বে গঠন করার জন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কর্মচারীরা এ প্রতিবেদককে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
এমআইএইচ/এসএএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।