ঢাকা, বুধবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে গণতন্ত্রের যাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে গণতন্ত্রের যাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে প্রতীকী ছবি

একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় কিছু পদ ও প্রতিষ্ঠান থাকে- যেসব পদ আর প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হয়। এটাই রাষ্ট্র পরিচালনার শিষ্টাচার।

যদি প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান আর স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ পদকে বিতর্কিত করে ফেলা হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রই দুর্বল হয়ে যায়। বাংলাদেশে এখন সেই প্রচেষ্টা চলছে কি না, তা ভেবে দেখার সময় হয়েছে।  

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। নানা দোষত্রুটি আর ভালোমন্দ মিলিয়ে এই সরকার কাজ করছে। ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের মতো একটি সরকারকে সরানোর পর একটি ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ অনেক জটিল এবং কঠিন। সেই কাজটি ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার করার চেষ্টা করছে। নানা রকম জটিলতা এবং সমস্যার পরেও শুধু ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকার কারণে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকারের ওপর আস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা শুধু বাংলাদেশেই নন, সারা বিশ্বে একজন শ্রদ্ধাভাজন হিসেবে পরিচিত। সৌভাগ্য যে তাঁর মতো একজন খ্যাতিসম্পন্ন এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত ব্যক্তি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ফলত এখনো মানুষ নানা রকম টানাপোড়েনের পরেও এই সরকারের প্রতি আস্থাশীল। সেজন্যই তাঁর ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। তাঁকে কাজ করতে দিতে হবে। দেশের সামনে এখন প্রধান কাজ গণতান্ত্রিক উত্তরণ। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।  

মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কী রকম হবে, সেটা শুধু এ দেশের জনগণের বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক মহল এই নিয়ে আগ্রহী এবং তাকিয়ে আছে। অস্বীকার করা যাবে না যে সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের পতনের পেছনে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন এবং সহযোগিতা বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ কারণেই বাংলাদেশ তার ইচ্ছামতো যখন খুশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না। এই নির্বাচন করতে হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সময়ে ও পদ্ধতিতে। সেটি নিয়েই ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাজ করছেন। ইতোমধ্যে তিনি ঘোষণা করেছেন যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই পেছানো হবে না।  

কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অতি উৎসাহী মহল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে, এমনকি সবশেষ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকেও প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা করছেন, প্রতিবাদে মাঠে নামছে। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করতে এসেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দীর্ঘ বৈঠক হয়। মূলত ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কী পদ্ধতিতে হবে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের যাত্রাপথ কেমন হবে ইত্যাদি নিয়ে কথা বলার জন্যই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুটি বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন। প্রথমত তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। তিনি নির্বাচনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চান। দ্বিতীয় যে বিষয়টি নিয়ে ক্রাইসিস গ্রুপ জানতে চাইছিল যে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা। অর্থাৎ সব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা। এই প্রশ্নে ক্রাইসিস গ্রুপ আরও সুনির্দিষ্ট করে জানতে চেয়েছিল যে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না বা সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে কি না। তার উত্তরে ড. ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি বলেছেন, ওই দলটির যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার হবে। উল্লেখ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্যটি এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক সাক্ষাৎকারে এবং বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় হয় তিনি একই রকম বক্তব্য রেখেছেন।  

আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তার সুস্পষ্ট অবস্থান তিনটি। প্রথমত আওয়ামী লীগের ভেতর যেসব নেতা এবং ব্যক্তি গণহত্যা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, তাঁদের বিচার হতে হবে। দ্বিতীয়ত আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে কি করবে না, সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তৃতীয়ত আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা বা না করা ইত্যাদি কাজ অন্তর্বর্তী সরকারের নয়। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যটিকে ঘিরে পানি ঘোলা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।  

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করা হয়। আওয়ামী লীগের অপরাধের বিচারের ধীরগতির ব্যাপারে নিন্দা জানানো হয় এবং আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে এখন অপ্রাসঙ্গিক বলেও জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ওই সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। একটি রাজনৈতিক দল এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করতেই পারে এবং সেখানে তাদের মতামত আসতে পারে। কিন্তু সেখানে প্রধান উপদেষ্টাকে সমালোচনা করা বা প্রশ্নবিদ্ধ করা এই নাজুক সময়ে কোনোভাবেই সমীচীন নয়।  

একইভাবে এই সময় আমরা দেখছি যে সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধান সম্বন্ধেও অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং উসকানিমূলক বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতীক এবং জনগণের আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করলে বা সেনাবাহিনীকে অবমাননা করে বক্তব্য দিলে রাষ্ট্রই দুর্বল হয়ে পড়ে। বিপন্ন হয় আমাদের সার্বভৌমত্ব। এই বোধ এবং উপলব্ধি আমাদের প্রত্যেকের থাকা উচিত। এখন যারা রাজনীতিতে সক্রিয় কিংবা ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে যারা সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের এখন দেশ গড়ার কাজে শামিল হতে হবে। মনে রাখতে হবে, ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের পর গত সাত মাসে বাংলাদেশকে ঘিরে নানা রকম ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হচ্ছে। এখানে এই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল, সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। এখন কাদাছোড়াছুড়ির সময় নয়। দোষারোপের চর্চা করে পরিবেশদূষণ এখন কাম্য নয়।  

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর ছাত্রদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর বক্তব্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্যতম নেতা এবং দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ২০ মার্চ রাতে। ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, ১১ মার্চ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজনকে ডেকে নিয়েছিলেন। সেখানে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ এবং আসন ভাগাভাগি নিয়ে একটি দরকষাকষি করেন। সেখানে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতেই হবে, এরকম একটি বক্তব্য দিয়ে তাঁরা রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করেন। হাসানাত আবদুল্লাহ এই স্ট্যাটাস ২০ মার্চ দিলেন কেন? ধারণা করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সঙ্গে তাঁর বক্তব্যের পরপরই হাসনাত আবদুল্লাহ এই বক্তব্যটি দিয়েছেন। কিন্তু এ ধরনের বক্তব্য দেওয়াটা তাঁর কতটুকু সমীচীন হয়েছে, সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। কারণ হাসনাত আবদুল্লাহ এখন ৫ আগস্টের পূর্বের অবস্থায় নেই যে তিনি রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। বরং তিনি এখন একটা দায়িত্বশীল অবস্থানে রয়েছেন। তিনি একজন গণ অভ্যুত্থানের নেতা। কাজেই গণ অভ্যুত্থানকে সফল করা, সংহত করা এবং একটি স্থিতিশীল অবস্থায় দেশকে রাখা তাঁর দায়িত্ব। তিনি যদি এখন আন্দোলনের ঢঙে বক্তব্য-বিবৃতি দেন, সেটা কতটুকু সমীচীন হবে তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। কারণ তাঁর এই বক্তব্যের পর কিছু কিছু মহল বুঝে না বুঝে সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধান সম্বন্ধে নানা রকম উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে।  

হাসনাত আবদুল্লাহ ২০ মার্চ বক্তব্যের পর গত শুক্রবার বলেছেন যে রাজনীতির বিষয়টি রাজনীতিবিদদেরই থাকা উচিত, সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। তাঁর বক্তব্য যদি আমরা মেনে নিই তাহলে প্রশ্ন করতেই হয় যে ৫ আগস্ট দুপুর থেকে রাত সন্ধ্যা পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দল কেন সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে ছিল? বাংলাদেশে যে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ তা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকার ওপর কেন ছাত্র-জনতা সবাই নির্ভর করেছিল? ছাত্রপ্রতিনিধি এবং গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী অনেকেই সেনাসদরে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৈঠক করেছেন। সেনাপ্রধানের মধ্যস্থতায় আসলে সেদিন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা আরও দেখলাম আরেকজন সমন্বয়ক এবং বর্তমানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি করেছিলেন সেনাপ্রধান। একটি রাজনৈতিক সংকটের সময় নানা রকম বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং নানা রকম মতভিন্নতা সেই আলোচনায় থাকতেই পারে। তর্কবিতর্ক হতেই পারে। সেগুলো একান্তই গোপনীয় বিষয়। শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত হলো সেটাই প্রকাশ্যে আসে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিতর্ক সাত মাস পর একজন দায়িত্বশীল উপদেষ্টা কেন সামনে আনলেন? এ মুহূর্তে সেনাপ্রধানকে বিতর্কিত করলে দেশ অস্থিতিশীল অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা করবে। সেই ঝুঁকি কেন নেওয়া হলো? আমরা যদি অতীত টেনে ধরে এত দিন পর এ ধরনের কথা বলে কাউকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করি বা ব্লেইম গেইম শুরু করি তাহলে দেশ অস্থিতিশীল হবে। গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। আগামী দিনের গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত হবে। এই বোধটুকু নিশ্চয়ই সবার রয়েছে।  

যাঁরা এখন রাজপথে ক্রিয়াশীল এবং যাঁরা প্রধান উপদেষ্টা বা সেনাবাহিনী বা সেনাপ্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করছেন, সমালোচনা করছেন তাঁদের একবার ভেবে দেখতে হবে যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার চলে যাওয়ার পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে উত্তরণের জন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, সেনাপ্রধান এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস কীভাবে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা দেশটিকে একটি অনিবার্য বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন। এখন তাঁরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মনোভাব এবং প্রত্যাশাগুলো সম্পর্কে তাঁরা জানেন। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় দরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণ। সেই গণতান্ত্রিক উত্তরণের গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ ড. ইউনূস এবং সেনাপ্রধান সবচেয়ে ভালো জানেন। কাজেই সবার বুঝতে হবে, তাঁদের বক্তব্যের সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য অনুধাবন না করেই উত্তেজনা ছড়ালে ক্ষতি হবে বিপ্লবের। অযাচিত, অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টায় বরং বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যাত্রাপথ বাধাগ্রস্ত হবে। আমাদের বোঝা দরকার আমরা যদি অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হই, তাতে নিজের ক্ষতি নিজেই করে ফেলার অবস্থা হতে পারে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।