ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকার সমস্যা নিয়ে এনএসইউতে ‘সিটি টক ২.০’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
ঢাকার সমস্যা নিয়ে এনএসইউতে ‘সিটি টক ২.০’ নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘শহরের প্রতিকূলতা এবং ভবিষ্যতের জন্য সমাধান’ শীর্ষক সেমিনার | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বিভিন্ন ধরনের দূষণ ও যানজটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত রাজধানী ঢাকা। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই নগরে প্রতিদিনই বাড়ছে জনসংখ্যা।

সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বসবাসকারীদের নানাবিধ সমস্যা। রাজধানীর এসব সমস্যা ও সমাধানের ভাবনায় তরুণদের সম্পৃক্ত করতে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সিটি টক ২.০’ সেমিনার।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে ‘শহরের প্রতিকূলতা এবং ভবিষ্যতের জন্য সমাধান’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল সিটি/কাউন্টি ম্যানেজমেন্ট  অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএমএ) স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার। অনুষ্ঠানের মূল পৃষ্ঠপোষক ছিল ব্র্যাক ব্যাংকের স্টুডেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস ‘আগামী’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সোসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. রিজওয়ান খায়েরের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের বোর্ড সদস্য (রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন) পরিকল্পনাবিদ হোসনে আরা আলো। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থপতি কাজী খালিদ আশরাফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।

এনএসইউ-আইসিএমএ-এর প্রেসিডেন্ট মো. ফাহিম ওয়াশির সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংক আগামীর সিনিয়র ম্যানেজার নাতাশা কাদের, এনএসইউ-আইসিএমএ-এর জেনারেল সেক্রেটারি সায়মা জামান স্বর্ণা প্রমুখ।



সেমিনারে বক্তারা ঢাকা শহরের সমস্যা ও দূষণ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং সমস্যা সমাধানে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগামী দিনের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী খালিদ আশরাফ নীতি-নৈতিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, একটি শহরের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগকে অপরিহার্য হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ নয়, বরং একটি মানবিক ও ভারসাম্যপূর্ণ শহর গঠনে নৈতিক মূল্যবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নগরায়নের পরিবর্তে ‘নগরী উন্নয়ন’-এর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

নগরায়ন যেখানে কেবলমাত্র একটি অন্ধ সম্প্রসারণ হিসেবে দেখা হয়, সেখানে নগরীর উন্নয়নকে তিনি সচেতন পরিকল্পনা, সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও মানুষের অভিজ্ঞতার একটি সামগ্রিক রূপ হিসেবে তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আহসান রনি শহরের পরিবেশ রক্ষা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মনে করেন, শহরের দূষণ রোধে গাছ লাগানোর মতো সহজ ও কার্যকর উদ্যোগই বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে পরিকল্পনাবিদ হোসনে আরা আলো বলেন, ঢাকার অপরিকল্পিত শহরায়ন, যানজট, জলাবদ্ধতা ও বস্তি সমস্যা নাগরিক জীবনের মান নিচে নামিয়ে এনেছে।

নগর উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা, পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো ও তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তরুণদের এখনই শহরের জন্য ভাবতে শুরু করা উচিত এবং তাদের অংশগ্রহণেই টেকসই ঢাকা গড়ে উঠবে বলে মনে করেন এই পরিকল্পনাবিদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৫
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।