ঢাকা: বনশ্রী এলাকার মেরাদিয়ায় কোরবানির গরুর হাট বসানোর পরিকল্পনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার (১৭ মে) সকালে বনশ্রী এইচ ব্লকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন বনশ্রী সমমনা পরিষদের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন শিকদার।
তিনি বলেন, মেরাদিয়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও দুই সিটি করপোরেশনের হাট তালিকা থেকে মেরাদিয়া বাদ পড়ার পরও সেখানে গরুর হাট বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রেরই প্রতিবাদে আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়েছি।
শাহাবুদ্দিন শিকদার অভিযোগ করে বলেন, বহু বছর ধরে আমাদের বাসার গ্যারেজ, এমনকি মূল ফটকের সামনেও গরুর হাট বসানো হয়। এতে ভাড়াটিয়ারা ও মালিকরা বাসা থেকে বের হতে পারেন না। এলাকা নোংরা হয়, বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের দুই সপ্তাহ আগেই দুর্ভোগ শুরু হয়। এমনকি পূর্বে এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যুও ঘটেছে এ বিশৃঙ্খলার কারণে।
তিনি আরও বলেন, এই হাট বসানো ব্যক্তিরা বনশ্রী বা আফতাবনগরের কেউ নন। তারা আসে সবুজবাগ, বাড্ডা, খিলগাঁও এলাকা থেকে। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই, কিন্তু বড় দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখায়। প্রকৃতপক্ষে তারা চাঁদাবাজ ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মোবাইল ফোন, ফেসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমে হুমকি দেয়। তবে আমরা ভয় পাই না—এ কারণেই আমরা রাজপথে নেমেছি।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আজ থেকে কোরবানির হাটের দিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব, প্রতিবাদ করব। যদি বাসার সামনে গরু আনার চেষ্টা করা হয়, আমরা ঝাড়ু ও বাথরুম পরিষ্কারের ব্রাশ হাতে প্রতিরোধ করব। বনশ্রীর কেউ এই হাটে যুক্ত নয়। এই হাট বসিয়ে এলাকাকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিছু দুষ্কৃতকারী।
শাহাবুদ্দিন শিকদার দাবি করেন, উচ্চ আদালত বনশ্রীর পক্ষে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। দুই সিটি করপোরেশনও তাদের অনুমোদিত হাটের তালিকা থেকে মেরাদিয়ার নাম বাদ দিয়েছে। তাহলে কেন এখানে গরুর হাট বসবে? প্রশাসনকে পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই—মানুষকে কষ্ট দিয়ে বনশ্রীতে গরুর হাট বসাতে দেওয়া হবে না।
এমএমআই/এমজে