গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট চক্রের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বুধবার (১৬ জুলাই) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ সংক্রান্ত বিবৃতি দেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও গণহত্যাকারী দলের সন্ত্রাসীরা দেশে নৈরাজ্য ও সহিংসতার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পরিকল্পিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ—কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। অত্যন্ত উদ্বেগজনক হলো, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ থেকেই স্পষ্ট হয়, এখনো প্রশাসনের একটি অংশ ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে কাজ করছে। আমরা এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
নেতারা আরও বলেন, বিগত সময়ের গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিচার না হওয়ায় দুষ্কৃতকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আর কখনোই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান দেখতে চায় না। আইনের শাসন ও জুলাই শহীদদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে হবে।
নেতারা গোপালগঞ্জের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা আহত পুলিশ সদস্যদের আশু সুস্থতা কামনা করেন। সেই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং নতুন প্রশাসন নিয়োগের দাবি জানান।
টিএ/আরএ