পর্তুগালের লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটো সুপিরিয়র টেকনিকোতে বাংলাদেশি অধ্যাপক এস এম সোহেল মুর্শেদকে শীর্ষ বিজ্ঞানী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। গবেষণা, প্রভাব এবং মান এই তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ০.৫ শতাংশ স্কলারকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ নিম্নলিখিত চারটি ক্ষেত্রে বিশ্ব সেরা স্কলার-লাইফটাইম শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ২৪ ন্যানোফ্লুইড, ২৩৬ টেকসই শক্তি, ৩৯৭ ন্যানোপ্রযুক্তি এবং ৫০৪ নবায়নযোগ্য শক্তি।
অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ পূর্ববর্তী ৫ বছর যাবত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিশ্বব্যাপী ১৪১৬ তম এবং পর্তুগালে ১৬ তম স্থান অর্জন করেছেন। প্রকাশনা রেকর্ড, গবেষণা, কাজের প্রভাব এবং স্কলারলি অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী সকল স্কলারদের মধ্যে তাকে ০.৫ শতাংশে স্থান দিয়েছে।
অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদ বর্তমানে কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। পূর্বে তিনি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন, রচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি নিউইয়র্কসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি নিয়মিতভাবেই ইউরোপীয় কমিশনের এবং অনেক দেশের গবেষণা তহবিল সংস্থার জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্ট এবং পর্যালোচক হিসেবে কাজ করেন।
অধ্যাপক সোহেল মুর্শেদের জন্ম বাংলাদেশের নড়াইল জেলায়। তার বাবা অধ্যাপক রুস্তম সিকদার নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। বাংলাদেশে তিনি নড়াইল জেলার মাইজপাড়া উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, রুয়েট (সাবেক বিআইটি) এবং বুয়েট থেকে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (এনটিইউ) থেকে মেকানিক্যাল ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এনডি