ঢাকা: বাংলাদেশকে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও পেশাজীবীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর সহযোগিতায় “বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের ওয়ার্ক পারমিট ও সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া” শীর্ষক এক পরামর্শ সভায় এ পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউএনডিপি বাস্তবায়িত “ট্রান্সফরমেটিভ ইকোনমিক পলিসি প্রোগ্রাম (টিইপিপি-২)”-এর অংশ, যা যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর সহায়তায় এ পরামর্শ সভা পরিচালিত হচ্ছে।
পরামর্শ সভায় আলোচনা হয়, বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ বিদেশি পেশাজীবী ও বিনিয়োগকারীদের চাহিদা বাড়ছে। তবে ওয়ার্কপারমিট ও সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া অনেক সময় সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করে। সভায় প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় জোরদার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং বিদেশি আবেদনকারীদের জন্য আরও পেশাদার ও ব্যবহারবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
তিনি স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য নতুন উদ্যোগের ঘোষণা করেছেন। অটোমেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণে বিডা'র অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমরা ১ অক্টোবর থেকে অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া চালু করেছি এবং প্রক্রিয়াটিকে আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করতে ভিসা ফি পেমেন্টকে ডিজিটাল করার কাজ করছি। "
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানটির সাফল্য নিয়ে তার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “কর্মশালাটি সফলভাবে তার উদ্দেশ্য পূরণ করুক। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে অধিবেশনটি “প্রাণবন্ত ও ফলপ্রসূ ছিল। তিনি আরও বলেন, বিডার সহযোগিতায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম শতভাগ অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং পাসপোর্ট সেবা সম্পূর্ণরূপে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরের লক্ষ্যে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
ইউএনডিপি টিইপিপি-২ প্রকল্পের আওতায় বিডার ওয়ান-স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রক্রিয়াটি ডিজিটালাইজ ও সমন্বিত করতে সহায়তা করছে। এ সংস্কার উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ম্যানুয়াল ধাপ কমিয়ে আনা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রক্রিয়াটি আরও সহজ, দ্রুত ও ব্যবহারবান্ধব করা।
এ পরামর্শ সভা বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও দক্ষ ও বিনিয়োগবান্ধব করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করবে।
টিআর/জেএইচ