ঢাকা: ‘খেলতে খেলতেই সুয়্যারেজের ম্যানহোলে পড়ে যায় আমার ভাতিজা নীরব। ম্যানহোলের পাশে একসঙ্গে তিনজন খেলছিল।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) রাতে বাংলানিউজকে এভাবেই বলছিলেন নীরবের চাচা সোহরাব আলী।
রাজধানীর শ্যামপুর মাঠ সংলগ্ন এলাকায় নীরবদের বাসা। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তার বাবা আরএফএল গ্রুপে চাকরি করেন।
আলাপকালে অটবি ফার্নিচারের কর্মচারী সোহরাব বলেন, নীরবের বাবা মো. রেজাউল ও মা নাজমা আক্তার ছেলে হারানোর শোকে এখন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন।
‘আগামী জানুয়ারিতে শিশু নীরবকে স্কুলে ভর্তি করার কথা। ’ যোগ করেন তিনি।
এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর শ্যামপুরে কদমতলী এলাকায় খোলা ম্যানহোলে পড়ে যায় শিশু নীরব।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত নয়টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এর আগেও অনুরূপ এক ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর শাজাহানপুরে বাসার কাছে ওয়াসার একটি অরক্ষিত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যায় শিশু জিহাদ।
প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫
এনএ/এসজেএ/এমএ/আরআই
** উদ্ধারের আগেই নিভে যায় নীরবের প্রাণ
** শিশু নীরবকে মৃত ঘোষণা চিকিৎসকের
** ‘খোলা ম্যানহোলের ঢাকনা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে’
** ম্যানহোলে পড়া শিশু নীরব ঢামেকে
** ম্যানহোলে পড়া শিশু নীরব উদ্ধার বুড়িগঙ্গায়
** এখনও খোঁজ নেই শিশু নীরবের, উদ্ধার কাজ চলছে
** শ্যামপুরে ম্যানহোলে পড়ে শিশু নিখোঁজ, চলছে উদ্ধার কাজ