কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামু উপজেলায় দু’দল সন্ত্রাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সিফাত ও আরাফাত নামে সন্ত্রাসী দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন-শহরের পাহাড়তলীর হালিমা পাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে জাহেদুল আলম ওরফে সিফাত (২৮) ও তার ভাই শহীদুল আলম ওরফে আরাফাত (২০)।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ঈদগড়-বাইশারি সড়কের পাশের একটি জঙ্গল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিফাতের বিরুদ্ধের কক্সবাজার সদর থানায়, হত্যা, ডাকাতি, নারী নির্যাতনসহ মোট ২২টি ও আরাফাতের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে।
সিফাত এবং আরাফাতের পৃথক দু’টি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি ছিল সাত গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। দুই বাহিনীর শতাধিক সন্ত্রাসী শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনকে অপহরণ করে পাহাড়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, মানুষের ঘরবাড়িতে গিয়ে জিম্মি করে চাঁদা আদায়, জমি দখল করে হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা।
এলাকাবাসী জানায়, শহরের পাহাড়তলী এলাকায় আরাফাতের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী পাহাড়তলী, সাত্তারঘোনা, লাইট হাউস, লারপাড়া, সিটি কলেজ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শহরের আরাফাত ও সিফাতের নেতৃত্বে বৈদ্যেরঘোনা, ঘোনারপাড়া, খাজা মঞ্জিল, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও মোহাজেরপাড়া নিয়ন্ত্রণ করে রফিক ও দিলু বাহিনী। এবিসিঘোনার সমিতি বাজার এলাকার আবুল মাঝির দুই ছেলে রফিক (২৮) ও দিলু (৩০) পৃথক বাহিনী তৈরি করে এখন কোটিপতি। দুই দলের সদস্যসংখ্যা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দিলু বাহিনীর সদস্য মোহাজেরপাড়ার জসিম, ঘোনারপাড়ার মামুন, পাহাড়তলীর শফিক, সমিতি বাজারের রানা ও রুমালিয়াছড়ার এনামের হাতে রয়েছে একাধিক অবৈধ অস্ত্র। দিনের বেলায় এসব সন্ত্রাসী শহরের প্রধান ও বাইপাস সড়কে ঘুরে বেড়ায়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বাংলানিউজকে জানান, সন্ত্রাসী সহোদর সিফাত ও আরাফাত বাহিনী সঙ্গে অপর একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়, এ ঘটনায় তারা নিহত হন। তবে অপর বাহিনীটি কে বা কারা তা এখনো জানা যায়নি।
তিনি আরো জানান, সিফাত ও আরাফাতের মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫/আপডেট: ১২৩০
এএটি/আরআই/আরএ