ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৫৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজালালের আপগ্রেডেশন

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
৫৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজালালের আপগ্রেডেশন ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আপগ্রেডেশন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটিতে ৫শ’ ৬২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্র।


 
সূত্র আরও জানায়, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে শাহজালাল বিমানবন্দরের আপগ্রেডেশন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এডিপি’র (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) আওতাধীন প্রকল্প ছিলো এটি। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও  নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ সম্পন্ন হয় প্রকল্পের কাজ।

ট্যাক্সিওয়ে পুনর্নির্মাণ, ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নয়ন, প্রশস্ত এয়ারক্রাফটের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ, ট্যাক্সিওয়েকে ডি-টাইপ থেকে ই-টাইপে উন্নীতকরণ ও অ্যারোড্রাম ক্যাটাগরি-ও থেকে ক্যাটাগরি-ওও-তে উন্নীতকরণ করা হয়েছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
 
শাহজালাল বিমানবন্দরের আপগ্রেডেশন প্রকল্পের বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বাংলানিউজকে বলেন, বিমানবন্দরের আপগ্রেডেশন প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করতে প্রায় আট বছর সময় লেগেছে।

‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিল রেখেই বিমানবন্দরের আপগ্রেডেশনের কাজ পরিচালনার চেষ্টা করা হয়েছে। আপগ্রেডেশনের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এখন যাত্রীরা আগের তুলনায় আরও নিরাপদে বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাতায়াত করতে পারবেন’- বলেন তিনি।

অন্যদিকে, আপগ্রেডেশন সম্পন্ন হওয়ায় আগের তুলনায় এখন নিরাপদে ফ্লাইটগুলো বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে ফ্লাইটগুলো রানওয়েতে অবতরণের সময় নানা ধরনের সমস্যায় পড়তো। একবার এমিরেটসের একটি এয়ারক্রাফটের চাকা ফেটে গিয়েছিলো। কিন্তু বিমানবন্দরের আপগ্রেডেশনের ফলে রানওয়ে আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। এ ধরনের সমস্যা এখন আর হবে না বলে আশা করছি। ফলে এখন আগের চেয়ে নিরাপদে অবতরণ করবে ফ্লাইটগুলো। তাছাড়া ট্যাক্সিওয়ে ও ড্রেনেজ সিস্টেমের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।

আপগ্রেডেশনের সুফল ভোগ করছেন যাত্রীরা বলেও জানান তিনি। শাহজালাল বিমানবন্দর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, জিএমজি এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সসহ বাংলাদেশের সব এয়ারলাইন্সগুলোর হোম বেস।

এক হাজার ৯শ’ ৮১ একর এলাকায় বিস্তৃত এ বিমানবন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠা-নামা করে। এছাড়া প্রায় ১৭ শতাংশ যাত্রী চট্টগ্রামে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেন। শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ৪০ লাখ আন্তর্জাতিক ও ১০ লাখ অভ্যন্তরীণ যাত্রী এবং এক লাখ ৫০ হাজার টন ডাক ও মালামাল আসা-যাওয়া করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
ইউএম/এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।