ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধুনট হানাদার মুক্ত হয় ১৪ ডিসেম্বর

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
ধুনট হানাদার মুক্ত হয় ১৪ ডিসেম্বর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ধুনট(বগুড়া): ১৪ ডিসেম্বর (সোমবার) বগুড়ার ধুনট উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ধুনট উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।



মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার হামিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি হানাদারদের অনেকে মারা যায়। আর বাকিরা পালিয়ে জীবন রক্ষা করে। রাজাকার আলবদররা আত্মসমর্পণ করতে থাকে।

শক্রমুক্ত ঘোষণার পর জনতা রাস্তায় নেমে আসেন। আনন্দ মিছিল করতে থাকেন। সেদিন হাজারো জনতার কণ্ঠে আওয়াজ ওঠে জয় বাংলা।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ওহাব বাংলানিউজকে জানান, ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকেই ধুনট হানাদারমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে চিকাশি ইউনিয়ন থেকে কালেরপাড়া গ্রামে প্রবেশের পথে ইছামতির তীরে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সন্মুখ যুদ্ধ হয়। সেদিন ছিল ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর। পাকিসেনাদের আক্রমণের মুখে সন্ধ্যার দিকে পিছু হটতে বাধ্য হন মুক্তিযোদ্ধারা।

সেদিনের যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের বুলেটের আঘাতে তাঁর (গোলাম ওহাব) হাতের একটি আঙুল উড়ে যায়। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের কানে কানে পৌঁছে দেওয়া হয় এই বার্তা।

কমান্ডার হামিদুর রহমান, খোরশেদ আলম, জ্যোতি ও শাহাজাহান আলীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের ৪টি দল ১৩ ডিসেম্বর রাতে চারদিক থেকে একযোগে ধুনট শহরে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চলে। আক্রমণের মুখে ওই রাতেই ধুনট শহর ছেড়ে চলে যায় পাকিসেনারা। যাওয়ার আগে হানাদাররা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।

একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা বীরের বেশে ধুনট শহরে প্রবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা ওই সময় ধুনট সদরের খোকা মিয়া ও খোকসাহাটা গ্রামের ইব্রাহীব হোসেন নামে চিহ্নিত দুই রাজাকারকে হত্যার পর বিজয় উল্লাস করেন। এরপর ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে ধুনট থানা প্রাঙ্গণে একত্রিত হন মুক্তিযোদ্ধারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
পিসি/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।