সিলেট: বছরের শুরুতে সিলেটে নৃশংসতার আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান ট্রাক চালক বকুল দেবনাথ।
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ও খুন, দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে সিলেটে বিদায়ী বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ১১৮ জন।
এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। আত্মহত্যা, বজ্রপাত, অজ্ঞাতসহ বিভিন্ন কারণে নিহত হন ৫৫ জন। এছাড়া দুর্ঘটনায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারির পর ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক নৃশংসতার বলি হয়ে প্রাণ হারান বকুল দেবনাথ। এই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন কারণে খুন হন ৫ জন। এ মাসেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ৫টি এবং অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার হয় একটি। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান এক কিশোরসহ ৬ জন।
ফেব্রুয়ারি মাসে পুত্রের হাতে খুন হন জেলার গোয়াইনঘাটের শাহপুর গ্রামের সোনা মিয়া (৬০)। এ হত্যার ঘটনাসহ ৩টি খুনের ঘটনা ঘটে ফেব্রুয়ারি মাসে। এছাড়া আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ২টি এবং সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই মহিলাসহ ৮জন।
মার্চ মাসে এক গৃহকর্মী ও শিশুসহ চারটি খুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এক গৃহকর্মী কিশোরীসহ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শিশু-কিশোরীসহ ৮ জনের। এদের মধ্যে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান একজন।
এপ্রিলে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শিশু, গৃহবধূ ও স্কুল ছাত্রীসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয় এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আরও ৪ জন।
১২ মে সকালে প্রকাশ্যে রাস্তায় বিজ্ঞানমনস্ক লেখক, ব্লগার অনন্ত দাশকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ এ মাসে খুন হন আরও দু’জন। আর বজ্রপাতে প্রাণ হারান ১ জন। এছাড়া আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ৬টি এবং সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৪ জন।
৭ জুন নগরীর বাগবাড়িতে মুহিবুর রহমান মানিককে গুলি করে হত্যাসহ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এ মাসে। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ৪টি এবং বজ্রপাতে মারা যান ৪ জন। আর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২ জন।
৮ জুলাই আলোচিত শিশু রাজন হত্যাসহ তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ মাসে শিশুসহ মরদেহ উদ্ধার হয় তিনজনের। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান মহিলাসহ দুই জন।
আগস্ট মাসে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনসহ চারটি খুনের ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ৪টি এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শিশু ও স্কুলছাত্রসহ ৫ জনের।
সেপ্টেম্বর মাসে দুই শিশুসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার হয় এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান মহিলাসহ তিনজন।
অক্টোবর মাসে দুটি খুনের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মারা যায় দুই শিক্ষার্থী এবং আত্মহত্যাসহ বিভিন্ন কারণে নিহত হন ৯ জন।
নভেম্বর মাসে সিলেটের কো্ম্পানীগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে ২ জনসহ তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এছাড়া স্কুল ছাত্রী ও কিশোরীসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। আর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক শিশুর।
ডিসেম্বরে বাংলাদেশের জৈন্তাপুর সীমান্তে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় খাসিয়ারা। এ মাসে কিশোর ও মহিলাসহ আত্মহত্যা করে মারা যান তিনজন। এছাড়া দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
এনইউ/আরআই