খুলনা: কীভাবে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী রকি আলমের (২৭) মৃত্যু হলো তা নিয়ে ধোঁয়াশার তৈরি হয়েছে। তবে প্রাথমিক ধারণা, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
রকি আলম কুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি শেষ করেছেন। বর্তমানে এমএসসিতে অধ্যয়নরত। তিনি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় রকি আলমের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সেটি খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে, রকির স্ত্রী আমেনা আক্তার ববিতা (২০) ও দেড় বছরের শিশু সন্তান নিখোঁজ রয়েছে।
তার বাবা মোবারক বাংলানিউজকে জানান, দুই-তিন দিন ধরে রকিকে মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়ায় তার সন্ধানে সোমবার সন্ধ্যায় মহানগরীর বৈকালীর আফজালের মোড়ের নুরুল ইসলামের ভাড়া বাসায় আসেন তিনি।
এ সময় ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগানো দেখেন। ঘরের ভেতর থেকে পঁচা গন্ধ পাওয়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় দেখতে পান রকি আলমের মরদেহ খাটের ওপরে লেপ দিয়ে অর্ধেক ঢাকা অবস্থায় পড়ে আছে। ঘরের মধ্যে খুঁজেও রকির স্ত্রী ও সন্তানকে পাওয়া যায়নি।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করার পর মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
এমআরএম/এইচএ/
** খুলনায় কুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার