ঢাকা, রবিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

সবার দোরগোড়ায় যেতে পারেনি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩:৩৩, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
সবার দোরগোড়ায় যেতে পারেনি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

নতুন পাঠক অন্তর্ভূক্তি, সাংস্কৃতিক সংঘ ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম গঠনের মাধ্যমে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি।

ঢাকা: নতুন পাঠক অন্তর্ভূক্তি, সাংস্কৃতিক সংঘ ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম গঠনের মাধ্যমে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি।

নতুন নতুন পাঠকদের কাছে নিয়মিত বই দেওয়া-নেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় ২০১৪ সালের জুলাই মাসে।

এটি সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল চলতি ডিসেম্বর মাসেই। তিন বছর মেয়াদী কর্মসূচির মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, গত জুন মাস পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ৫৬ শতাংশ। চলতি বছরের মধ্যেই ৫০ হাজার নতুন পাঠক অন্তর্ভূক্তির কথা থাকলেও অগ্রগতি মাত্র ২৯ হাজার জন। এ সময়ে পাঁচ হাজার সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও হয়েছে মাত্র ৩ হাজার।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি চিফ আব্দুর রাকিব বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুরুতেই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সময় নষ্ট হয়েছে ছয় মাস। যে কারণে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারিনি। আমরা সবার দোরগোড়ায় আমাদের লাইব্রেরি নিয়ে যেতে চাই। যে লক্ষ্য নিয়ে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি শুরু করেছি, তাও পূরণ করতে চাই। এ লক্ষ্যে কর্মসূচির সময় আরও ছয় মাস বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছি। আশা করছি, অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে’।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মাধ্যমে দেশের ৫৬টি জেলার ১৮ হাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের দোরগড়ায় সৃজনশীল বই পড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু সব লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এমনকি বরাদ্দের টাকাও যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি। ফলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অব্যয়িত ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে সরকারি কোষাগারে ফেরৎ দেওয়া হয়েছে।

দু’বার কর্মসূচি সংশোধন করা হয়েছে। তারপরও অর্থায়নের ধরন, উৎস, যানবাহন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি কিংবা নতুন কোনো অঙ্গ অন্তর্ভূক্তি করা হয়নি।

ফলে লক্ষমাত্রা অনুসারে নতুন পাঠক তৈরি, পাঠক সদস্যের বই পড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের শতভাগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্পের মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধি করে ২০১৭ সালের জুন নাগাদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের অর্জন বলতে চলতি সময় পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির মাধ্যমে ৬০ হাজার পাঠক ১৩ লাখ বই পড়েছেন। ৩৫০টি সাংস্কৃতিক সংঘ গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।